শেষ আপডেট: 24th March 2024 08:05
দ্য ওয়াল ব্যুরো: শুক্রবার রাতে মস্কোতে জঙ্গি গোষ্ঠী আইএস-কের হামলায় মৃত্যু হয়েছে ১৪৩ জনের। আহতের সংখ্যাও শতাধিক। হামলার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত চারজন সশস্ত্র জঙ্গী-সহ ১১জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা এক বিবৃতিতে হামলার দায় স্বীকার করেছে সংংশ্লিষ্ট জঙ্গিগোষ্ঠী।
রাশিয়ায় কেন আক্রমণ? সংবাদসংস্থা সূত্রের খবর, ধৃতদের জেরা করে প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে, গত কয়েক বছর ধরে রাশিয়ায় মুসলিমদের প্রতি দুর্ব্যবহারের কারণে এই দলটি প্রকাশ্যে পুতিনের বিরোধিতা করেছে।
আইএসআইএস-কে কারা?
ইসলামিক স্টেট খোরাসান (আইএসআইএস-কে), ২০১৪ সালের শেষের দিকে পূর্ব আফগানিস্তানে আবির্ভূত হয় এবং বর্তমানে এটি আইএসআইএস-এর অন্যতম সক্রিয় সহযোগী। 'খোরাসান' বলতে এই অঞ্চলের একটি প্রাচীন খিলাফতকে বোঝায় যা বর্তমানে আফগানিস্তান, ইরান, পাকিস্তান এবং তুর্কমেনিস্তানের কিছু অংশকে ঘিরে রেখেছে।
তেহরিক-ই-তালেবান (টিটিপি) থেকে বিচ্ছিন্ন যোদ্ধাদের সমন্বয়ে গঠিত এই দলটি এবং প্রয়াত আইএসআইএস নেতা আবু বকর আল-বাগদাদির প্রতি আনুগত্যের অঙ্গীকার করে, চরম বর্বরতার জন্য খ্যাতি প্রতিষ্ঠা করেছে বলে আল জাজিরার একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে।
তবে ২০১৮ সালে পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লাগাতার অভিযানের জেরে এই গোষ্ঠীর সদস্য সংখ্যা ইতিমধ্যেই ধাক্কা খেয়েছে।
নৃশংসতম জঙ্গি গোষ্ঠী হিসেবে পরিচিত এই আইএসআইএস-কে এর আগে কোথায় কোথায় হামলা চালিয়েছে?
সংবাদ সংস্থা সূত্রের খবর, খোরসান হিসেবে পরিচিত এই জঙ্গি গোষ্ঠী অনেক হাই-প্রোফাইল হামলার জন্য দায়ী। এর মধ্যে রয়েছে: ২০২১ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আফগানিস্তান প্রত্যাহারের সময় কাবুল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হামলা। হামলায় ১৩ জন মার্কিন সেনা এবং ১৭৫জন আফগান নাগরিকের মৃত্যু হয়েছিল। ২০২২ সালে কাবুলে রাশিয়ান দূতাবাসে আত্মঘাতী বোমা হামলা। ২০২৪ সালের শুরুতে ইরানের কেরমানে জোড়া বোমা বিস্ফোরণ। ওই বিস্ফোরণে নিহত হয়েছিলেন প্রায় ১০০ জন।
এদিকে হামলার নেপথ্যে ইউক্রেন থাকতে পারে বলে শনিবার ইঙ্গিত করেছিলেন রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন। পুলিশের দাবি, হামলা চালানোর পর জঙ্গিরা ইউক্রেনের দিকেই যাওয়ার চেষ্টা করেছিল।