শেষ আপডেট: 6th July 2021 14:50
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মঙ্গলে উষা বুধে পা! বুধবার তাঁর মন্ত্রিসভার রদবদল করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সন্ধে ৬ টায় রাষ্ট্রপতি ভবনে হবে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান। কেন্দ্রে তাঁর দ্বিতীয় জমানায় এই প্রথম কোনও রদবদল করতে চলেছেন তিনি। তার ২৪ ঘণ্টা আগে মন্ত্রিসভার সম্ভাব্য রদবদল সম্পর্কে মোটামুটি স্পষ্ট ইঙ্গিত দেওয়া হল সাউথ ব্লক সূত্রে। যার মোদ্দা কথা হল— • মন্ত্রিসভার গড় বয়স হবে কম অর্থাৎ বিভিন্ন রাজ্য থেকে আরও বেশি তরুণ মুখকে তুলে আনা হবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায়। • শিক্ষাগত যোগ্যতা ও রাজ্যস্তরে প্রশাসনিক অভিজ্ঞতার নিরিখেই মন্ত্রিসভায় নতুন মুখ আনা হচ্ছে। • প্রাক্তন বা অবসরপ্রাপ্ত একাধিক আমলাকে মন্ত্রী করা হতে পারে। • মন্ত্রিসভার রদবদলে আঞ্চলিক আকাঙ্খা ও প্রতিনিধিত্বের বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। রদবদলে গুরুত্ব পাচ্ছে, জাতিগত প্রতিনিধিত্বও। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় সর্বোচ্চ ৮১ জন সদস্য থাকতে পারে। তবে প্রথম মেয়াদ থেকেই মোদী মন্ত্রিসভায় সদস্যের সংখ্যা কম। মিনিমাম গভর্নমেন্ট ম্যাক্সিমাম গভর্নেন্সের সূত্রে তা সুচিন্তিত ভাবেই করেছেন মোদী-শাহরা। বর্তমানে মন্ত্রিসভায় সদস্য রয়েছেন ৫৩ জন। অর্থাৎ সম্প্রসারণের জন্য সুযোগ রয়েছে অঢেল। এখন প্রশ্ন মন্ত্রিসভায় সম্ভাব্য নতুন মুখ কারা? বিজেপি ও সরকারের শীর্ষ সূত্রের মতে, অসমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়ালকে কেন্দ্রে ক্যাবিনেট মন্ত্রী করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। অসমে বিজেপি এ বার জিতলেও সর্বানন্দকে মুখ্যমন্ত্রী করেনি। পরিবর্তে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছে হিমন্ত বিশ্বশর্মা। সেই কারণেই কেন্দ্রে পুনর্বাসন দেওয়া হতে পারে সর্বানন্দকে। একই ভাবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় পুনর্বাসন পেতে পারেন বিহারের প্রাক্তন উপ মুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদী। আবার মধ্যপ্রদেশ থেকে অবধারিত ভাবেই মন্ত্রিসভায় আসার সম্ভাবনা রয়েছে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার। দিল্লি রওনা হওয়ার আগে এদিনই জ্যোতিরাদিত্যকে মন্দিরে পুজো দিতে দেখা গিয়েছে। গত বিধানসভা ভোটে মধ্যপ্রদেশে হেরেছিল বিজেপি। কংগ্রেস সরকার গঠন করেছিল। কিন্তু এর পর জ্যোতিরাদিত্য সদলবলে শিবির বদল করে পদ্মদলে যোগ দেন। তাতে কংগ্রেসের সরকারের পতন ঘটে। কংগ্রেসের বিশ্বাস ভেঙে মোদী-শাহর আস্থা অর্জনের সেই পুরস্কার পেতে পারেন জ্যোতিরাদিত্য। তবে সর্বভারতীয় রাজনীতির চোখ আটকে রয়েছে উত্তরপ্রদেশে। এমনিতে হিন্দিবলয়ের সব থেকে বড় এই রাজ্যে বিরোধী দলগুলির অবস্থা এখন খুবই দুর্বল। ঘরে বসে আস্ফালন ব্যতিরেকে মাঠে ময়দানের রাজনীতিতে অখিলেশ যাদব, মায়াবতী বা প্রিয়ঙ্কা বঢ়ড়ার দেখা নেই। কিন্তু তা যেমন ঠিক, তেমনই এও ঠিক যে উপর্যুপরি বেশ কিছু ঘটনায় উত্তরপ্রদেশের বিজেপি সরকারের ভাবমূর্তি মলিন হয়েছে। হাথরসের ঘটনা বা কোভিডে মৃতদের দেহ গঙ্গায় ভাসিয়ে দেওয়ার ঘটনা নিয়ে তোলপাড় পড়েছে দেশজুড়ে। তা ছাড়া কৃষক আন্দোলনের ভরপুর প্রভাব রয়েছে পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে। ফলে উত্তরপ্রদেশ থেকে নতুন কোনও মুখ মন্ত্রিসভায় আসে কিনা, বা এলে তাঁরা কারা তা নিয়ে কৌতূহল রয়েছে অসীম। নর্থ ব্লক সূত্রে বলা হচ্ছে, উত্তরপ্রদেশের সমস্ত অঞ্চলের প্রতিনিধিত্ব থাকবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায়। সেই সূত্রেই এই রাজ্য থেকে নতুন কিছু মুখ আসতে পারে দিল্লিতে। বিজেপির শীর্ষ সূত্রের মতে, একাধিক তরুণ মুখ মন্ত্রিসভায় দেখা যেতে পারে। যেমন মহারাষ্ট্র থেকে প্রমোদ মহাজনের মেয়ে পুনম মহাজন, মহীশূরের প্রতাম সিমহা, দিল্লির মীনাক্ষী লেখি কিংবা পরবেশ ভার্মা প্রমুখ।