শেষ আপডেট: 26th July 2024 13:39
দ্য ওয়াল ব্যুরো: রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বিল আটকে রেখেছেন, এই মর্মে আনা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আবেদনে সাড়া দিয়ে আজ, শুক্রবার সংশ্লিষ্টদের নোটিস দিল সুপ্রিম কোর্ট। শুধু রাজ্যই নয়, কেরল সরকারও এই একই অভিযোগে আর্জি জানিয়েছিল সর্বোচ্চ আদালতে। দুই সরকারেরই আবেদন শুনে এদিন কেন্দ্র ও রাজ্যপালদের সচিবদের নোটিস দিয়েছে আদালত।
পশ্চিমবঙ্গ ও কেরল দুই সরকারেরই দাবি, কোনও কারণ না দেখিয়ে সংশ্লিষ্ট রাজ্যপালরা আটটি বিল আটকে রেখে দিয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং মনোজ মিশ্রর বেঞ্চ তার পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এবং দুই রাজ্যপালের সচিবকে নোটিস দিয়েছে।
কেরলের পক্ষে প্রবীণ আইনজীবী কেকে বেণুগোপাল বলেন, রাজ্যপাল যে বিলগুলিকে রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের জন্য পাঠিয়েছেন, সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করছে রাজ্য সরকার। একইভাবে বাংলার তরফে হাজির হওয়া বরিষ্ঠ কৌঁসুলি অভিষেক মনু সিংভি বলেন, রাজ্যপাল রাজ্যের বিল কী করে রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের জন্য সুপারিশ করতে পারেন?
তিনি সম্প্রতি তামিলনাড়ু সরকারের একই ধরনের আবেদনের দৃষ্টান্ত তুলে সর্বোচ্চ আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। সিংভি বলেন, সেক্ষেত্রেও সুপ্রিম কোর্ট পদক্ষেপ করায় রাজ্যপাল সব বিল ছেড়ে দিয়েছিলেন। এটা এখন অভ্যাসে পরিণত হয়ে গিয়েছে বলে মন্তব্য করেন সিংভি।
সিংভির যুক্তিকে আরও শক্তিশালী করতে বেণুগোপাল বলেন, পদে পদে রাজ্যের বিল রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ করার অর্থ রাজ্য সরকারের সঙ্গে অসহযোগিতা করতে চাইছেন রাজ্যপাল।
আর্জিতে তেলঙ্গানা রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের দৃষ্টান্ত তুলে ধরা হয়েছে। যেখানে সর্বোচ্চ আদালত বলেছিল, ২০০ ধারা মোতাবেক আইনসভায় পাশ হওয়া বিল যত দ্রুত সম্ভব রাজ্যপালকে ছেড়ে দিতে হবে। পাঞ্জাবের রাজ্যপালের ক্ষেত্রেও সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের কথা উল্লেখ করেছে রাজ্য সরকার। তামিলনাড়ু ও কেরলের রাজ্যপালও বিল আটকে রাখায় শীর্ষ আদালতের সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন।