শেষ আপডেট: 21st August 2024 19:29
দ্য ওয়াল ব্যুরো: দিন কয়েক আগেই প্যারিস অলিম্পিক্সে জোড়া ব্রোঞ্জ পদক জিতে দেশের চোখের মণি হয়ে উঠেছেন মনু ভাকের। দেশের অন্যতম এক ক্রীড়াতারকা হয়ে ওঠার যাত্রাও শুরু হয়ে গেছে এই জয়ের সঙ্গে সঙ্গে। একই অলিম্পিক্সে দুটি পদক জেতা প্রথম ভারতীয় হিসেবে তিনি বিশ্বের দরবারেও প্রশংসা কুড়িয়েছেন। এমনই সময়ে, ভারতের ক্রীড়াঙ্গনের শীর্ষে বসে একটি থ্রোব্যাক ছবি শেয়ার করলেন মনু। তাঁর শ্যুটিং করা কীভাবে শুরু হয়েছিল, সে কথাই জানালেন ভক্ত-অনুগামীদের।
সোশ্যাল মিডিয়ায় মনু ভাকেরের ওই পোস্টে দেখা গেছে, তিনি স্কুলে কয়েকজন সঙ্গীসাথীর সঙ্গে শ্যুটিং অনুশীলন করছেন। সেই ছবিই শেয়ার করেছেন তিনি। কে বলবে, স্কুলড্রেস পরা ছোট্ট সেই মেয়েই আজ দেশের বিজয়িনী। দেশের সেরা অলিম্পিয়ানদের একজন।
How it started vs how it's going, and Grateful for everything in between ???????????????? pic.twitter.com/z8LzoyoZI2
— Manu Bhaker???????? (@realmanubhaker) August 20, 2024
সম্প্রতি মনু তাঁর অলিম্পিক্স যাত্রার কথাও শেয়ার করেছিলেন। বিশেষ করে জানিয়েছিলেন, টোকিও অলিম্পিক্সে তিনি কী বিপত্তির সম্মুখীন হয়েছিলেন। তিনি বলেন, 'সেই টোকিও অলিম্পিক থেকে শুরু। আমি তখন বিশ্বের দু'নম্বর পোজিশনে ছিলাম, কিন্তু তবু আমি ভাল ফল করতে পারিনি। হারিয়ে যাওয়া আত্মবিশ্বাস ফিরে পাওয়া খুব কঠিন ছিল আমার জন্য। আমি হারা এবং হারার পরে জেতা-- এই দুইয়েরই স্বাদ জানি। এটাই স্পোর্টসের সৌন্দর্য। কোনও প্রতিযোগিতায় আপনি হেরে যেতেই পারেন, কিন্তু কঠোর পরিশ্রম করলে সেটিই ফের জিতবেন।'
মনু আরও বলেন, 'লক্ষ্যপূরণের জন্য প্রচুর পরিশ্রম এবং প্রচেষ্টা করতেই হবে। লক্ষ্য যে সবসময় বড় কিছু দিয়ে শুরু হয়, তা নয়। তবু সেটি পূরণ করার চেষ্টা করতে হবে। বড় স্বপ্ন দেখলে বড় জয়ও আসবে। আমিও দেখেছিলাম বড় স্বপ্ন। তবে আমি জানতাম, প্রতিযোগিতায় জয়ী হই বা না হই, সবসময় আত্মবিশ্বাসী থাকব। আমি খেলতে ভালবাসি, এই খেলার জীবন থেকে অনেক কিছু পাই।'
বিশ্বজুড়ে প্রশিক্ষণ ও প্রতিযোগিতা করলেও দেশের সম্মানের উপরেও জোর দিয়েছেন মনু। তিনি বলেন, 'আমার শ্যুটিং কেরিয়ারে সাড়ে আট বছর কেটে গিয়েছে। আমি প্রায় অর্ধেক পথিবী ঘুরে ফেলেছি। আমি বিভিন্ন ধরনের মানুষ এবং সংস্কৃতি দেখেছি, তাদের প্রেক্ষাপট, সংগ্রাম এবং তাদের জীবনযাত্রাও জেনেছি। কিন্তু আমি নিজেকে নিয়ে কখনওই লজ্জিত বোধ করিনি। আমার দেশই আমার গর্ব। আমি আগে ইংরেজি জানতাম না, কীভাবে মানুষের সঙ্গে কথা বলতে হয় জানতাম না এবং আরও অনেক কিছু জানতাম না। কিন্তু আমি নিজেই নিজেকে এগুলো শিখিয়েছি। বিভিন্ন মানুষও আমায় বিভিন্ন জিনিস শিখতে সাহায্য করেছেন।'