শেষ আপডেট: 20th September 2024 12:11
দ্য ওয়াল ব্যুরো: তিরুপতি মন্দিরে তৈরি লাড্ডু গিয়েছিল অযোধ্যার রামমন্দিরের উদ্বোধনে। আর তা নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক। আর এই বিতর্ক ঘনিয়ে তুলেছে সনাতন হিন্দুত্ববাদী সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ। আরএসএসের মুখপত্র 'পাঞ্চজন্য'তে লেখা হয়েছে, তিরুপতি মন্দিরের প্রসাদী লাড্ডুতে পশুর চর্বি মেশানোর অভিযোগ অত্যন্ত গুরুতর। তাতে দাবি করা হয়েছে, অযোধ্যার রামমন্দিরেও তিরুপতি তিরুমালা মন্দির থেকে এক লক্ষ লাড্ডু গিয়েছিল।
পাঞ্চজন্যে আরও লেখা হয়েছে, রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠার দিন এক লক্ষ লাড্ডু পাঠানো হয়েছিল অযোধ্যার রামমন্দিরে। এবং সেই লাড্ডু রামভক্তদের মধ্যে বিতরণও করা হয়েছিল। তদন্তে প্রকাশ, তিরুপতির লাড্ডুতে গোরু এবং শূকরের চর্বি ছাড়াও মাছের তেল মেশানো হতো। সেই লাড্ডু ভক্তদের কাছে প্রসাদী হিসাবে বিক্রি করা হতো। প্রসঙ্গত, তেলুগু দেশম পার্টির মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডু প্রথম এই বিতর্কটি প্রকাশ্যে আনেন। এর জন্য তিনি পূর্ববর্তী জগনমোহন রেড্ডি সরকারকে কাঠগড়ায় তুলেছেন।
কেন্দ্রের শাসক জোট এনডিএ-র শরিক টিডিপি নেতা অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু গত বুধবার বিজয়ওয়াড়ায় অভিযোগ তোলেন, তিরুপতির 'প্রসাদম'-এ ব্যবহৃত ঘিতে পশুর চর্বি ও মাছের তেল মিশিয়ে ভেজাল দেওয়া হয়। পূর্বতন ওয়াইএসআর কংগ্রেস পার্টির জমানায় এই কাজ হতো। যদিও সাবেক শাসকদলের নেতা ওয়াইভি সুব্বা রেড্ডি ও বিকে রেড্ডি, যাঁরা তিরুমালা তিরুপতি দেবস্থানম ট্রাস্ট বোর্ডের প্রাক্তন সভাপতি, তাঁরা নাইডুর দাবিকে নস্যাৎ করেন।
পরে বৃহস্পতিবার টিডিপির মুখপাত্র এভি রেড্ডি গুজরাতের ন্যাশনাল ডেয়ারি ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের পরীক্ষাগারে পরীক্ষিত বিস্তারিত রিপোর্ট প্রকাশ করে দেন। সেই পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, প্রসাদমের যে নমুনা পাঠানো হয়েছিল, তাতে গোরু, শুয়োরের চর্বি এবং মাছের তেল পাওয়া গিয়েছে।
নতুন বিতর্কের বিষয় হচ্ছে, গত ২২ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাতে উদ্বোধন হওয়া রামলালার মূর্তি ও অযোধ্যার রামমন্দিরে যে এক লক্ষ লাড্ডু পাঠানো হয়েছিল তা তৈরি হয়েছিল ২০০০ কেজি দেশি ঘি দিয়ে। সৌরভ বোরা তিরুমালা তিরুপতি দেবস্থানমের এক বোর্ড সদস্য সেই ঘিয়ের জন্য ৩০ লক্ষ টাকা ট্রাস্টকে দান করেছিলেন।