শেষ আপডেট: 3rd July 2024 17:57
দ্য ওয়াল ব্যুরো, নদিয়া: কাজে যান না। তবে প্রতিমাসে নিয়ম করে বেতন নেন। শান্তিপুর পুরসভার গ্রুপ-ডি কর্মীর বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এমনই নালিশ জানালেন এক নাগরিক। শান্তিপুর পুরসভার ওই গ্রুপ-ডি কর্মী আইএনটিটিইউসির জেলা সভাপতি। ঘটনা জানাজানি হতেই রাজনৈতিক মহলে নিন্দার ঝড়।
নদিয়ার শান্তিপুর পুরসভার গ্রুপ-ডি কর্মী সনৎ চক্রবর্তী রানাঘাট সাংগঠনিক জেলা আইএনটিটিইউসির সভাপতি। অভিযোগ, শান্তিপুর পুরসভার কর্মী হলেও, তিনি পুরসভায় আসেন না। অথচ প্রত্যেক মাসে নিয়ম করে বেতন তোলেন। সে কারণেই শান্তিপুরের ওই বাসিন্দা লিখিত অভিযোগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে।
যদিও সনৎবাবুর সাফাই, "শ্রমিক সংগঠনের নিয়মে নেতারা স্পেশাল ছুটি পায়। প্রয়োজনে আমিও স্পেশাল ছুটি নিয়ে যাই। অন্য সময় কর্মস্থলে থাকি। এটা নিয়ে মিথ্যা প্রচার করা হচ্ছে। লোকসভা নির্বাচনে আমাদের পরাজয় হয়েছে, তাই নির্বাচনের পরে নানারকম অপপ্রচার, কুৎসা, মিথ্যাচার চলছে। এটা ঠিক নয়।"
শান্তিপুরের সিপিআইএম নেতা, প্রাক্তন কাউন্সিলর সৌমেন মাহাতো বলেন, "১৫ বছর কাউন্সিলর হিসেবে দায়িত্ব সামলেছি। সেই সময় পুরসভায় গিয়ে একবারের জন্যেও সনৎ চক্রবর্তীকে কাজ করতে দেখিনি। উনি বর্তমানে শ্রমিক সংগঠনের নেতা হয়েছেন। শান্তিপুরের বুকে জমি-বাড়ি কেনাবেচা, প্রমোটারি করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। তৃণমূল কংগ্রেস দলকে সামনে রেখে সাধারণ মানুষকে লুঠ করছে এরা।"
নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলা বিজেপির মুখপাত্র সোমনাথ কর বলেন, "দিনের পর দিন সাধারণ মানুষের ট্যাক্স দেওয়া টাকায় বেতন তুলছেন। অথচ কর্মক্ষেত্রে যাচ্ছেন না। এই অনৈতিক কাজ তৃণমূল ছাড়া আর কেউ করতে পারে না।"
যদিও শান্তিপুর পুরসভার পুরপ্রধান সুব্রত ঘোষ দাবি করেন, তাঁর কিছু ছুটি পাওনা ছিল। এরপরেও যদি অতিরিক্ত ছুটি নিয়ে থাকেন, তিনি অবশ্যই ভুল কাজ করেছেন। তিনি বলেন, "প্রমোটিং বা অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে আমার সঠিক জানা নেই। যদি তিনি সেই অনৈতিক কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকেন, তাহলে দল ব্যবস্থা নেবে। তবে পুরসভায় কাজে না আসার বিষয়ে আমি তদন্ত করে দেখব। আগামীতে যাতে তিনি অযথা ছুটি নিতে না পারেন, সেই বিষয়টিও দেখব।"