শেষ আপডেট: 29th June 2024 12:27
দ্য ওয়াল ব্যুরো, বীরভূম: উচ্ছেদ ঘিরে শুক্রবার অশান্ত হয়ে উঠেছিল বোলপুরের চিত্রা মোড় এলাকা। মুখ্যমন্ত্রী সময় দেওয়ার পরেও কেন চালানো হল বুলডোজার, সেই প্রশ্ন তুলেছিলেন ব্যবসায়ীরা। শনিবার সকাল হতেই ফের বুলডোজার নিয়ে চিত্রা মোড়ে পরপর দোকান ভাঙা হল। একই ছবি কৃষ্ণনগরেও। অবৈধ কাঠামো সরিয়ে নেওয়ার জন্য তিনদিনের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল কৃষ্ণনগর পুরসভা। শনিবার সেই সময়সীমা পার হতেই রাস্তার ধারে পরের পর দোকান ভেঙে দিল জেলা প্রশাসন।
শনিবার সকাল থেকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হতেই ক্ষোভ উগরে দেন ব্যবসায়ীরা। তাঁদের অভিযোগ,মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এক মাস বন্ধ থাকবে উচ্ছেদ অভিযান। তারমধ্যেই সরিয়ে ফেলতে হবে অবৈধ কাঠামো। কিন্তু বাস্তবে সময় ফুরোনোর আগেই বুলডোজার চালাচ্ছে প্রশাসন। শনিবার সকালে বোলপুরের চিত্রা মোড় এলাকায় বোলপুর পুরসভা বুলডোজ়ার নিয়ে অভিযান শুরু করতেই এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। বোলপুর পুরসভার বক্তব্য, বৈধ কাগজ দেখানোর জন্য দোকানিদের ২৪ ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়েছিল। তা কেউ দেখাতে পারেনি। তারপরেই শুরু হয় উচ্ছেদ।
রামপুরহাটে জাতীয় পতাকা নিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে প্রতিবাদে সামিল হন ফুটপাতের ব্যবসায়ীরা। তৃণমূল কংগ্রেসের এক নেতাও তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন। রামপুরহাট ডাকবাংলো পাড়া মোড়ে জমায়েত করেন তাঁরা। গত তিনদিন ধরে রাজ্য জুড়ে চলছে সরকারি জমি থেকে দখলদার উচ্ছেদ। শনিবার সকাল থেকে রামপুরহাটে উচ্ছেদ অভিযান চালানোর কথা ছিল রামপুরহাট পুরসভার। সেই উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ করতে রাস্তায় দাঁড়িয়ে পড়েন ফুটপাতের ব্যবসায়ী ও তাঁদের পরিবার। ব্যবসায়ীরা বলেন, মুখ্যমন্ত্রী একমাস সময় দেওয়ায় তাঁরা আশ্বস্ত হয়েছিলেন। এখন পুরসভার আধিকারিকরা উল্টো পথে হাঁটছেন।
রাজ্য সরকারের পাশাপাশি এদিন বেলা দশটা নাগাদ রামপুরহাটে রেলের জায়গা দখল করে থাকা দোকানদার ও ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদ করতে আসে রেল কর্তৃপক্ষ। সেই সময় রাস্তায় বসে পথ অবরোধ তাদের আটকে দেন ব্যবসায়ীরা।
শনিবার সকাল থেকে বুলডোজ়ার নামিয়ে একের পর এক অবৈধ দোকান ভাঙা হয় কৃষ্ণনগরেও। শুক্রবার বিকেলেই এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছিল জেলা প্রশাসন। এদিন জেলাশাসকের দফতরের উল্টো দিকের রাস্তায় অভিযান শুরু হয়। পরে অভিযান চলে পোস্ট অফিসের মোড়, সদরের মোড়, নতুন এবং পুরনো বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকাতেও।