শেষ আপডেট: 5th August 2024 14:24
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আগেই বলেছিলেন মন্ত্রিত্ব যাওয়াতে তাঁর কোনও আক্ষেপ নেই। শনিবারের ঘটনার জন্য তিনি অনুতপ্ত বলেও জানিয়েছিলেন। সোমবার বিধানসভায় নিজের পদত্যাগ পত্র দিয়ে অখিল গিরি বললেন, "কোনও চাপের মুখে পদত্যাগ করিনি। আমাদের দলের সুপ্রিমো বলেছেন। তাই পদত্যাগ করেছি। সেই নির্দেশই আমাদের কাছে সব।"
এরপরের পদক্ষেপ কী হবে জানতে চাইলে অখিল গিরি বলেন, "আমি রামনগরের এমএলএ। এলাকার কাজ করব। আর দল যদি কোনও দায়িত্ব দেয় সেই কাজ করব। রামনগরের মানুষ যদি আমাকে চান, তাঁদের জন্য কাজ করে যাব। মানুষের কাজ তো করতেই হবে। মানুষের জন্য যখন যেখানে আন্দোলন করতে হবে সেখানেও পৌঁছে যাব।"
তাজপুরের সমুদ্র সৈকতে জবরদখল উচ্ছেদ করায় শনিবার এক মহিলা বনাধিকারিকের সঙ্গে অশালীন আচরণের অভিযোগ ওঠে অখিল গিরির বিরুদ্ধে। বন দফতরের রেঞ্জারের উদ্দেশে তাঁর মন্তব্যে রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে তৃণমূলকে। তারপরেই অখিল গিরিকে ইস্তফা দেওয়ার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শুক্রবার রাতে তাজপুরের সমুদ্রসৈকতে বন দফতরের জায়গা থেকে দখলদার উচ্ছেদ করা হয়। শনিবার দুপুরে হকারদের সমর্থনে ওই এলাকায় যান অখিল গিরি। ঘটনাস্থলে তখন উপস্থিত ছিলেন কাঁথি রেঞ্জের ফরেস্ট অফিসার মনীষা সাউ-সহ বন দফতরের অন্য কর্মীরা। বন দফতরের মহিলা আধিকারিককে উদ্দেশ করে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘‘২৫ ফুট আমরা নিলাম। এর ভিতরে যদি আপনি আসেন আপনি ফিরে যেতে পারবেন না। বেশি কথা বলবেন না আপনি একদম।" শালীনতার সীমা অতিক্রম করে এও বলেন, "আপনি সরকারের চাকর। মাথা নিচু করে কথা বলবেন। আপনি একদম বেয়াদবি করবেন না। আপনাকে যখন সবাই ডাঙ দিয়ে পেটাবে, তখন দেখবেন!"
অখিল গিরির এমন ভাষা প্রকাশ্য়ে আসতেই হইচই পড়ে যায়। ক্ষুব্ধ বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা বলেন, "কর্মরত অফিসারকে এভাবে কেউ বলতে পারেন না। তিনি যে পদেই থাকুন। যদি কিছু বলার থাকত আমি দফতরের মন্ত্রী, আমাকে উনি বলতে পারতেন।" প্রায় একই সুর শোনা যায় তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের গলাতেও। পরবর্তীতে অখিল গিরিকে পদত্যাগ করার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।