শেষ আপডেট: 18th July 2024 17:47
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বিদ্যুৎ বিভ্রাটকে ঘিরে অবরোধের জেরে মালদহের মানিকচকের ধুন্ধুমার কাণ্ডে রাজ্য পুলিশকে 'ট্রিগার হ্যাপি পুলিশ' বলে একযোগে কটাক্ষ বিজেপি -সিপিএমের। পরিস্থিতির জন্য রাজ্যের প্রশাসনিক ব্যর্থতাকেই দায়ী করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং সিপিএমের কেন্দ্রীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী। যার জবাবে তৃণমূলের তরফে বাম জমানার নন্দীগ্রাম গণহত্যা এবং উত্তরপ্রদেশে যোগী পুলিশের এনকাউন্টারের প্রসঙ্গ টেনে আনা হয়েছে।
লাগাতার বিদ্যুৎ বিভ্রাটের প্রতিবাদ জানাতে মালদহের মানিকচকের এনায়েতপুরে এদিন জাতীয় সড়ক অবরোধ করেছিলেন স্থানীয়রা। অবরোধ তুলতে গিয়ে আক্রান্ত হয় পুলিশ। মানিকচক থানার আইসি-সহ বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী জখমও হন। অভিযোগ, পুলিশের গুলিতে দু'জন গ্রামবাসী আহত হয়েছেন। ঘটনাটি নিয়ে ইতিমধ্যে রিপোর্ট চেয়েছে নবান্ন।
ওই ঘটনায় রাজ্য পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, "পুলিশের উপস্থিতিতে মানুষ হাতে আইন তুলে নিচ্ছে। এর থেকেই স্পষ্ট, রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনের প্রতি মানুষের আস্থা বিশ্বাস উঠে যাচ্ছে। তাই এরকম ঘটনা।"
একই সঙ্গে রাজ্য পুলিশকে 'ট্রিগার হ্যাপি পুলিশ' বলে কটাক্ষ করে সুকান্ত বলেন, "শাহজাহানদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার মুরোদ নেই, অথচ সাধারণ মানুষের উপর গুলি চালানোর সময় আছে!"
সিপিএমের কেন্দ্রীয় নেতা সুজন চক্রবর্তীও 'ট্রিগার হ্যাপি পুলিশ' শব্দবন্ধ ব্যবহার করে বলেন, "এই পুলিশ গুন্ডাদের শেল্টার দেয়, সাধারণ মানুষকে নয়।" একই সঙ্গে রাজ্যের গ্রামাঞ্চলে ঘন ঘন লোডশেডিং নিয়েও বড় প্রশ্ন তুলেছেন সুজন। সিপিএম নেতা বলেন, "গ্রামে গ্রামে বিদ্যুৎ বিভ্রাট বিপ্জ্জনক অবস্থায় যাচ্ছে। বাংলায় কোনও নতুন শিল্প সংস্থা এসেছে? তাহলে এত বিদ্যুৎ বিভ্রাট কেন? আসলে তৃণমূলের সরকার পুরো সিস্টেমটাকেই ভেঙে দিয়েছে। একটু হাওয়া হলেই লোডশেডিং।"
যার জবাবে নন্দীগ্রামের গণহত্যা থেকে উত্তরপ্রদেশে কথায় কথায় যোগী পুলিশের এনকাউন্টারের প্রসঙ্গ টেনে এনেছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। কুণাল বলেন, "যারা বাংলার পুলিশ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন, তাঁদের মনে করিয়ে দিতে চাই, ২০০৭ সালে সাধারণ মানুষের জমি আন্দোলন ভাঙতে চটি পরা পুলিশ নিয়ে নন্দীগ্রামে গণহত্যা চালিয়েছিল সিপিএমের সরকার। ৩৪ বছরের বাম রাজত্বে এমন অনেক গণহত্যার উদাহরণ আছে। আর উত্তরপ্রদেশের তো যোগীর পুলিশ কথায় কথায় এনকাউন্টারের নামে মানুষকে হত্যা করে।"
কুণাল আরও বলেন, "পুলিশ আদৌ গুলি চালিয়েছে কিনা বা কোন পরিস্থিতিতে গুলি চালাতে বাধ্য হয়েছে তা তদন্ত সাপেক্ষ। নবান্নর তরফে এসপির কাছে রিপোর্টও চাওয়া হয়েছে।"