ওড়িয়া-জাপানি প্রেমকাহিনি।
শেষ আপডেট: 28th July 2024 21:34
দ্য ওয়াল ব্যুরো: জাপানের এক তরুণী মিয়াগি ও বাংলার যুবক স্নেহময় চ্যাটার্জীর প্রেমকাহিনি নিয়ে, ২০১০ সালে অনন্যসুন্দর এক ছবি করেছিলেন অপর্ণা সেন। সে ছবিতে চিঠিপত্রের মাধ্যমে জন্ম নেওয়া প্রেমের পরিণতি হয়েছিল বিয়ে, তবে তাও চিঠির মধ্যে দিয়েই। বাস্তবে কারও সঙ্গে কারও দেখা হয়নি। তার পরেও তিরতিরে নদীর মতো বয়ে গিয়েছিল নিখাদ প্রেম। শেষে ধরা দিয়েছিল স্নেহময়ের মৃত্যুর যন্ত্রণা। সেই সঙ্গেই সুদূর জাপান থেকে এদেশে চলে এসেছিলেন মিয়াগি। স্বামীকে গোটা জীবনে না পেলেও, আপন করে নিয়েছিলেন স্বামীর অকালমৃত্যুকে। হয়ে উঠেছিলেন 'জাপানিজ ওয়াইফ'।
এমনই আরও এক জাপানিজ ওয়াইফের কাহিনি ভাইরাল হয়েছে সদ্য। তবে এ কাহিনিতে বিচ্ছেদ নেই, মৃত্যু নেই, যন্ত্রণা নেই। এ কাহিনি নিখাদ এক হৃদয়গ্রাহী প্রেমের গল্প। সেই জাপানি মায়ের ছেলে সমীর রিশু মোহান্তি সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে ভাগ করে নিয়েছেন তাঁর বাবা-মায়ের এই গল্প। জানিয়েছেন, কীভাবে তাঁর ওড়িয়া বাবার সঙ্গে মায়ের দেখা হয়েছিল এবং কীভাবে পুরীর একটি হোটেলে তাঁদের প্রেমকাহিনি শুরু হয়েছিল।
রিশু জানান, তাঁর মা কলেজে পড়ার সময়ে গোটা বিশ্বের নানা দেশে ভ্রমণ করছিলেন এবং তখনই পুরীতে গিয়েছিলেন। কলেজপর্ব শেষ করার পরে, তিনি পুরীতে থাকতে শুরু করেন এবং নিজের বই লেখার কাজে মন দেন। কিন্তু একসময়ে অর্থ রোজগার করার প্রয়োজন পড়ায় তিনি জাপানি পর্যটকদের জন্য একটি হোটেল তৈরি করতে চেয়েছিলেন পুরীতে।
কিন্তু বাধ সাধল আইন। হোটেল করবেন যে, তার জন্য তো জমি কিনতে হবে। তাঁর মা বিদেশি নাগরিক হওয়ায় হোটেলের জন্য জমি কিনতে পারেননি। অবশেষে রিশুর বাবার সঙ্গে দেখা হওয়ার পরে এবং প্রেমে পড়ার পরে বিয়ে করেন তাঁরা। জীবনসঙ্গী তো বটেই, একসঙ্গে ব্যবসা করারও সঙ্গী হয়ে ওঠেন তাঁরা।
এর পরেই তাঁরা দু'জনে মিলে পুরীতে হোটেল তৈরি করেন, নাম দেন তাঁদেপ জীবনের নামেই। 'লাভ অ্যান্ড লাইফ'। এই হোটেলটি আজও পুরীতে রয়েছে, যেটি রিশুর জাপানি মা ও ভারতীয় বাবার প্রেমের নিদর্শন স্বরূপ।
শুনুন সেই প্রেমের কাহিনি।
View this post on Instagram
রিশু ইনস্টাগ্রামে এই কাহিনি পোস্ট করতেই তা ভাইরাল হয়ে যায়। প্রশংসায় ভরিয়ে দেন সকলে। কেউ লিখেছেন, 'আগ্রায় যেমন তাজমহল আছে, পুরীতেও তেমনই আছে লাভ অ্যান্ড লাইফ। কেউ আবার লিখেছেন, 'আমি মনে করি প্রেমই একমাত্র জিনিস যা জাতি, ধর্ম, সংস্কৃতি, ধর্ম, স্থান ইত্যাদি নির্বিশেষে মানুষকে আবদ্ধ করে।'