শেষ আপডেট: 19th June 2024 19:00
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ১ জুন শেষ দফা ভোট শেষ হতেই বিভিন্ন ভোট সমীক্ষক সংস্থা সমীক্ষা রিপোর্ট সামনে এনেছিল। তাতে সিংহভাগ সংস্থাই জানিয়েছিল, বাংলায় এবারে তৃণমূলের চেয়ে বিজেপির ফলাফল অনেক ভাল হবে। তবে ফল প্রকাশ হতে দেখা যায়, সমীক্ষা রিপোর্টকে ভুল প্রমাণ করে গতবারের চেয়ে ৭টি বেশি আসনে অর্থাৎ ৪২ এর মধ্যে তৃণমূল ২৯টি আসনে জয়ী হয়েছে। অন্যদিকে বিজেপির আসন কমে দাঁড়িয়েছে ১২ তে।
তৃণমূলের এই জয়ের নেপথ্যে যে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের প্রভাব রয়েছে, দিলীপ ঘোষের আনা বিপর্যয়ের অভিযোগের জবাবে পরোক্ষে তা স্বীকার করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। শুভেন্দু বলেছিলেন, "মনে রাখতে হবে, উনিশের লোকসভার সময় বাংলায় লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প ছিল না।"
পর্যবেক্ষকদের অনেকের মতেও, নিয়োগ দুর্নীতি, সন্দেশখালি-সহ শাসকের বিরুদ্ধে বিরোধীরা একাধিক ইস্যুতে সরব হলেও লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প তৃণমূলকে বাড়তি সুবিধে দিয়েছে। এবার খোলামেলাভাবে একথা জানিয়ে দিলেন দমদমের চারবারের সাংসদ সৌগত রায়ও। একই সঙ্গে সৌগত এও জানালেন, এবারের লোকসভা ভোটে কারা তৃণমূলকে ভোট দেননি।
এক অনুষ্ঠানে বর্ষীয়ান তৃণমূল সাংসদ বলেন, "এবারের ভোটে তৃণমূলকে বাঁচিয়েছে ঝুপড়ির গরিব মহিলারা। যাঁরা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পেয়েছেন তাঁরা আমাদের ঢেলে ভোট দিয়েছেন। তাঁরাই আমাদের রক্ষাকর্ত্রী।"
একই সঙ্গে সৌগত একথাও বলেন, "শহরের একটা অংশ আমাদের ভোট দেননি। বিশেষ করে যাঁরা অবস্থাপন্ন, বড় ফ্ল্যাটে থাকেন তাঁরা ভোট দেননি।” তবে সংখ্যালঘুদের সিংহভাগ ভোটই তৃণমূলের অনুকুলে গিয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই ফের শাসকের সমালোচনায় সুর চড়িয়েছে বিরোধীরা। তাঁদের অভিযোগ, রাজ্যের প্রকৃত উন্নয়নে নজর না দিয়ে এভাবে সরকারি টাকায় মানুষ কিনে ভোটে জেতার নোংরা কৌশল নিয়েছে তৃণমূল। যা শুনে শাসকদলের পাল্টা কটাক্ষ, "নাচতে না জানলে উঠোন বাঁকা!"