শেষ আপডেট: 22nd June 2024 12:20
দ্য ওয়াল ব্যুরো: এবারের লোকসভা ভোটে একক সংখ্যা গরিষ্ঠতা অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে বিজেপি। শরিকদের সহায়তায় সরকার গড়তে হয়েছে পদ্মশিবিরকে। ফল প্রকাশের পর এ ব্যাপারে নাম না করে মোদী-শাহকে বিধেঁছিলেন আরএসএসের সঙ্ঘ প্রধান মোহন ভাগবত।
দেশের পাশাপাশি বাংলাতেও বিজেপির ফল খারাপ হয়েছে। ৩০ পৌঁছনো তো দূরে থাক গতবারের চেয়েও ৬টি আসন খুইয়ে বাংলায় বিজেপির আসন সংখ্যা মাত্র ১২! সেখানে গতবারের চেয়েও সাতটি বেশি আসনে জিতে প্রায় ৩০ এর কোঠা ছুঁয়ে ফেলেছে তৃণমূল।
বাংলায় দলের ফল খারাপের জন্য এবার আরএসএস এর পত্রিকা ‘স্বস্তিকায়’ একাধিক কারণকে তুলে ধরা হল। ‘স্বস্তিকা’য় লেখা প্রতিবেদনে বাংলায় ভরাডুবির জন্য প্রধান যে কারণটির উল্লেখ করা হয়েছে তা যথেষ্ঠ তাৎপর্যপূর্ণ। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তৃণমূল নেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কোনও গ্রহণযোগ্য, জোরদার মুখ ছিল না বিজেপির।
মেদিনীপুরের জেতা আসনের পরিবর্তে এবারে বর্ধমান-দুর্গাপুর আসনে প্রার্থী করা হয়েছিল দিলীপ ঘোষকে। ১ লাখ ৩৭ হাজার ভোটে তৃণমূলের কীর্তি আজাদের কাছে 'গো হারান হারে'র পর ক্ষোভের জ্বালামুখ খুলে দিলীপ দলের একাংশের বিরুদ্ধে 'কাঠিবাজি'র অভিযোগ এনেছিলেন। একাধিক আসনে প্রার্থী নির্বাচনেও ভুল ছিল বলে অভিযোগ করেছিলেন দিলীপ।
আরএসএসের মুখপত্রেও পরাজয়ের নেপথ্যে পরোক্ষে এই কারণকে দায়ী করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, 'অজানা-অচেনা আর চমকদার প্রার্থী দেওয়ার ফলে খেসারত দিতে হয়েছে বিজেপিকে'। একইসঙ্গে দলের অন্দরের ক্ষোভ বিক্ষোভকেও দায়ী করা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে। বলা হয়েছে, 'দুর্বল সংগঠন আর মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ কম থাকাও একটা বড় কারণ'।
প্রতিবেদনে সরাসরি লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের প্রসঙ্গ উল্লেখ না করা হলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের একাধিক সামাজিক প্রকল্প যে মানুষকে আরও বেশি করে করে তৃণমূলমুখী করেছে, তাও উল্লেখ করা হয়েছে।
ভোটের পরাজয়ের কারণ হিসেবে বঙ্গ বিজেপির একাংশ নেতা, বাম-কংগ্রেসককে দুষলেও আরএসএস নেতৃত্ব মনে করেন, পরাজয়ের আসল কারণ খুঁজে বের করে তার ওপর কাজ করা প্রয়োজন। আত্মসমালোচনার পরামর্শ দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিজেদের দোষ খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ করলে তা ভবিষ্যতের পক্ষে ভাল হবে।
প্রসঙ্গত, ফল প্রকাশের পর নাম না করে মোদী-শাহর সমালোচনা করে নাগপুরে সঙ্ঘের সদর দফতরে মোহন ভাগবত বলেছিলেন, “যেভাবে প্রচারের পরস্পরের সমালোচনা করা হয়েছে, তাতে সমাজে সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। তার কোনও খেয়াল রাখা হয়নি। বিনা কারণে আরএসএসের সংগঠনের কথাও টেনে আনা হয়েছে। প্রযুক্তি সাহায্য নিয়ে মিথ্যা প্রচার করা হয়েছে। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে শুধু মিথ্যা প্রচারের জন্য।”