শেষ আপডেট: 25th June 2024 16:03
দ্য ওয়াল ব্যুরো: শুধু পার্টি অফিসে বসে দায় সারলে হবে না, আরও বেশি করে মানুষের কাছে যেতে হবে। পার্টি কর্মীদের বাইরেও সাধারণ মানুষের মধ্যে নিজের গন্ডি বাড়াতে হবে দলের নেতা, কর্মীদের।
লোকসভা ভোট পরবর্তী প্রাথমিক পর্যালোচনার পর খসড়া রিপোর্ট প্রকাশ করে জেলা কমিটিগুলির উদ্দেশে এই নির্দেশ পৌঁছেছে আলিমুদ্দিন থেকে।
দলের নেতৃত্ব থেকে এজি সদস্যের একটা বড় অংশ স্রেফ যান্ত্রিকভাবে এবারের নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন বলেও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে রিপোর্টে। সেখানে পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছে, নির্বাচনের কাজে কারা সঠিক ভূমিকা পালন করেননি সেগুলো পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
প্রসঙ্গত, এবারেও লোকসভা ভোটে ভরাডুবি হয়েছে বামেদের। গতবারের চেয়েও ভোট শতাংশ কমেছে। এব্যাপারে সম্প্রতি রাজ্য কমিটির বৈঠকে মহম্মদ সেলিমের কন্ঠে আক্ষেপ ধরা পড়েছিল, “আমাদের অসম লড়াই লড়তে হয়েছিল। তবুও চেষ্টা করেছি।”
ওই বৈঠকে তৃণমূলের আর বিজেপির হেলিকপ্টার ব্যবহারের প্রসঙ্গ টেনে নিজেদের টোটোতে প্রচার সারার অভিজ্ঞতাও বলেছিলেন কোনও কোনও প্রার্থী। তবে প্রাথমিক পর্যালোচনায় নেতৃত্ব মনে করছে, দলের একটা অংশের সদস্যরা অত্যন্ত নিষ্ক্রিয়, তা না হলে ফলাফল আরও ভাল হত।
অতীতে বামেদের দুর্ভেদ্য ঘাঁটি হিসেবে বাংলার যে কটি জেলার নাম প্রথমসারিতে থাকত পশ্চিম মেদিনীপুর তারই অন্যতম। এই জেলার এক বর্ষীয়ান জেলা কমিটির সদস্যর আক্ষেপ, "এই কাজটা আরও আগে শুরু করার দরকার ছিল। অনেকেই পার্টিতে রয়েছেন। কিন্তু দু'দিক বাঁচিয়ে চলছেন। নাম কা ওয়াস্তে পার্টি অফিসে আসছেন, যাচ্ছেন কিন্তু বছরভর সংগঠনের বৃদ্ধির জন্য যে যে জনসংযোগ দরকার, তাতে কোনও ভূমিকা পালন করছেন না।"
কেশপুরের এক সিপিএম নেতার কথায়, "পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দলের অনেক নেতা রাস্তাঘাটেও নির্বাক দর্শকের ভূমিকা পালন করছেন। ফলে সাধারণ মানুষের কাছেও দলগতভাবে আমাদের গুরুত্ব কমছে।"
সূত্রের খবর, দেরিতে হলেও সমস্যার শিকড়ে পৌঁছতে চাইছেন নেতৃত্ব। কারা কারা ভোটে সঠিক ভূমিকা পালন করেননি, সেই সব পার্টি সদস্যকে চিহ্নিত করতে বলা হয়েছে। লোকসভা পরবর্তী খসড়া রিপোর্টের ৯ নম্বর পাতায় জেলা কমিটিগুলির উদ্দেশে পরিষ্কারভাবে লেখা হয়েছে, আগামী ১ মাসের মধ্যে নির্বাচনী ফলাফল নিয়ে পর্যালোচনা চূড়ান্ত করতে হবে।
খসড়া রিপোর্টে এও বলা হয়েছে, যেখানে বুথস্তরে সংগঠন একবার বন্ধ হয়ে গেছে, সেখানে পুনরায় চালু করার কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এমনকী কী কারণে বুথস্তরে সংগঠন ধাক্কা খেল, সেই সমস্যাও বহুক্ষেত্রে চিহ্নিত করা হয়নি। একইভাবে প্রচার কৌশলেও যে ভুল ছিল, তাও পরোক্ষে মেনে নিয়ে বলা হয়েছে, বাড়ি বাড়ি প্রচারে ঘাটতি ছিল।