শেষ আপডেট: 24th March 2023 10:38
দ্য ওয়াল ব্যুরো: রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) হলেন পঞ্চম সাংসদ (fifth MP) আদালতে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় যাঁর লোকসভার সদস্যপদ (Lok Sabha membership) খারিজ হয়ে গেল। এই তালিকায় এক নম্বরে নাম আছে উত্তরপ্রদেশের মুজফফরপুরের বিজেপি বিধায়ক বিক্রম সৈনির। দ্বিতীয় বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদব, তৃতীয় উত্তরপ্রদেশের সমাজবাদী পার্টির নেতা আজম খাঁ এবং চতুর্থ লাক্ষাদ্বীপের এনসিপি সাসংদ মহম্মদ ফৈজল।
জানুয়ারির গোড়ায় খুনের মামলায় লাক্ষাদ্বীপের নিম্ন আদালতে অভিযুক্ত হন ফৈজল। লালুপ্রসাদের লোকসভার সদস্যপদ চলে যায় তিনি পশুখাদ্য কেলেঙ্কারিতে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর। আজম খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল ঘৃণা ভাষণের। রাহুলের মতো তিনিও ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে বিরোধীদের সম্পর্কে আপত্তিজনক মন্তব্য করেছিলেন। বিক্রম সৈনির বিরুদ্ধে মুজফফরপুরের দাঙ্গায় জড়িত থাকার অভিযোগ ছিল।
আগের চারজনের মধ্যে একমাত্র ফৈজলের ক্ষেত্রে উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন। ফলে লাক্ষাদ্বীপ লোকসভা আসনে উপনির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারি করেও তা স্থগিত করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। গত ২৫ জানুয়ারি কেরল হাইকোট (লাক্ষাদ্বীপ এই হাইকোর্টের আওতায় পড়ে) তাঁকে জামিনে মুক্তি দেয়। তার আগে ১৮ জানুয়ারি নির্বাচন কমিশন বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানায় লাক্ষাদ্বীপের শূন্য আসনে ভোট নেওয়া হবে ২৭ ফেব্রুয়ারি। কিন্তু হাইকোর্টের রায় জানার পর কমিশন ভোট স্থগিত করে দিয়েছে।
কিন্তু লোকসভার স্পিকার এখনও ফৈজলের সদস্যপদ ফেরাননি। ফলে লাক্ষাদ্বীপ আসনটি এখনও শূন্য। ফৈজল ইতিমধ্যে একাধিকবার স্পিকারের কাছে আবেদন করেছেন। কিন্তু স্পিকারের অফিস নীরব। ফৈজল ২০১৪ থেকে লাক্ষাদ্বীপের সাংসদ ছিলেন।
কংগ্রেস বৃহস্পতিবারই ঘোষণা করেছে সুরাতের আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে তারা উচ্চ আদালতে যাবে। অনেকেই আশা করছেন, রাহুলের সাজার মেয়াদ উচ্চ আদালত কমিয়ে দেবে। প্রশ্ন হল, তখন কি রাহুল আবার ওয়ানাডের সাংসদ পদ ফিরে পাবেন?
ফৈজলের দৃষ্টান্ত টেনে আইনজ্ঞরা মনে করছেন, একবার সদস্যপদ চলে যাওয়ার পর তা ফেরানোর কোনও রাস্তা সম্ভবত স্পিকারের কাছেও নেই। ফলে এক অভূতপূর্ব আইনি প্রশ্নও দেখা দিয়েছে। হাইকোর্টের রায়ের পর লোকসভার স্পিকারের অফিস উচ্চবাচ্য না করায় নির্বাচন কমিশনও সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না লাক্ষাদ্বীপের ভোটের বিষয়ে। তবে একটা বিষয় স্পষ্ট, উচ্চ আদালতে সাজার মেয়াদ না কমলে রাহুল দু বছর জেল খাটার পরও আরও ছয় বছর কোনও নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না।
রাহুলের পাশে মমতা-অভিষেক, গণতান্ত্রিক ভারত এখন সোনার পাথরবাটি, মোদী সরকারকে তুলোধোনা