শেষ আপডেট: 27th June 2024 18:13
দ্য ওয়াল ব্যুরো: একে বলে সেয়ানে সেয়ানে কোলাকুলি। দশ বছরের একমেবাদ্বিতীয়মের জমানা শেষ ২০২৪ সালের লোকসভায়। সরকারপক্ষের বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী বিরোধী জোট গড়ে তোলায় এখন থেকেই পদে পদে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএর ঘাড় চেপে ধরতে চলেছে কংগ্রেস। বৃহস্পতিবার সংসদের যৌথ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের সময় সংসদ টিভির ক্যামেরা অধিকাংশ সময়েই ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দিকে তাক করা। এমনই অভিযোগ তুলল প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস।
শুধু তাই নয়, স্পিকার ওম বিড়লার বিরুদ্ধেও জাতীয় সঙ্গীত অবমাননার অভিযোগ এনেছে ইন্ডিয়া জোটের প্রধান শরিক দল। রাষ্ট্রপতির ভাষণের প্রাক মুহূর্তে শুরু হওয়া জনগণমন অধিনায়ক সমবেত বাদ্যযন্ত্রসঙ্গীত শুরু হওয়ার সময় লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা দাঁড়িয়ে না পড়ে হেঁটে নিজের জায়গায় এসে দাঁড়ান। সেই ছবি পোস্ট করে কংগ্রেস নেত্রী সুপ্রিয়া শ্রীনাতে লিখেছেন, স্পিকার মহোদয়, জাতীয় সঙ্গীত শুরু হওয়া মাত্রই আপনি যেখানে ছিলেন, সেখানেই দাঁড়িয়ে পড়া উচিত ছিল। আপনি এভাবে জাতীয় সঙ্গীতের অপমান করলেন কী করে?
অন্যদিকে, দলের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ এদিনই প্রশ্ন তুলেছেন যৌথ অধিবেশনে বারবার মোদীকে ক্যামেরার ফোকাস দেওয়া নিয়ে। যৌথ অধিবেশনে বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীকে উপেক্ষা করে সরকারি প্রচারমাধ্যম অধিকাংশ সময় ব্যয় করেছে প্রধানমন্ত্রীর মুখ দেখাতে। রাষ্ট্রপতি এদিন সংসদে ছিলেন মোট ৫১ মিনিট। তার মধ্যে মোদীকে কতবার দেখানো হয়েছে, প্রশ্ন তুলেছেন রমেশ।
রমেশই জানিয়েছেন, সভার দলনেতা নরেন্দ্র মোদীকে দেখানো হয়েছে ৭৩ বার। বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীকে ৬ বার। ক্যামেরার দৃষ্টি সরকারপক্ষের দিকে তাক করা হয়েছে ১০৮ বার এবং বিরোধী বেঞ্চের দিকে মাত্র ১৮ বার। রমেশ এক্সবার্তায় লিখেছেন, সংসদ টিভির কাজ সভার কার্যাবলি দেখানো। ক্যামেরাজীবীদের আত্মসুখের জন্য নয়।
এখানেই শেষ নয়, রাষ্ট্রপতির ভাষণের পর কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গেও এক্সবার্তায় তীব্র প্রতিক্রিয়া দেন। তিনি লেখেন, রাষ্ট্রপতির ভাষণ লিখে দিয়েছে মোদী সরকার। এই ভোটের ফল তাঁর বিরুদ্ধে গিয়েছে। কারণ তাঁর ৪০০ পার স্লোগানের ধারেকাছেও পৌঁছায়নি দল। শুধু তাই নয় ম্যাজিক ফিগার ২৭২-ও স্পর্শ করতে পারেনি বিজেপি। মোদীজি এটা কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না। তাই উনি এমন ভাব দেখাচ্ছেন, যাতে মনে হয় কিছুই পরিবর্তন হয়নি। কিন্তু, সত্যিটা হল, দেশের মানুষ তাঁকে বদলের পক্ষে রায় দিয়েছেন।