শেষ আপডেট: 2nd May 2024 17:52
দ্য ওয়াল ব্যুরো, উত্তর ২৪ পরগনা: জমি হারিয়ে সন্দেশখালির ডুগরি পাড়ার বাসিন্দারা এখন হাহাকার করছেন। তাঁদের কারও জমির পাট্টা আছে, কিন্তু সরকারি রেকর্ড খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। কারও আবার জমির দাগ নম্বর ঠিক নেই। এতে জমি সংক্রান্ত বিষয়গুলি যাচাই করতে গিয়ে ধন্দে পড়েছেন সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা।
সন্দেশখালি ১ নম্বর ব্লকের সরবেড়িয়া আগারহাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের ডুগরি পাড়ার কাবিল মোল্লা, আনসার মোল্লাদের অভিযোগ, জমি দখল করার পরে সেগুলির চরিত্র বদলে সরকারি তথ্য নষ্ট করার পরে বেনামে বিক্রি করেছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা মিজানুর রহমান।
স্থানীয় বাসিন্দা কাবিল মোল্লার অভিযোগ, "আমরা দীর্ঘদিন এই জমি চাষবাস করে রুটি-রুজি জোগাড় করি। গ্রামের বেশ কয়েকজনের কাছ থেকে জোর করে জমি দখল করে নিয়েছেন শেখ শাহজাহানের ঘনিষ্ঠ মিজানুর রহমান। আমরা সরকারের বিভিন্ন দফতরে বিষয়টি জানিয়েও কোনও সুফল পাইনি। তাই সিবিআই ওয়েবসাইটে অভিযোগ জানিয়েছি। আশা করব আমাদের জমি আমরা ফেরত পাব।"
সন্দেশখালির ওই এলাকায় শেখ শাহজাহানের ডান হাত বলেই পরিচিত এই মিজানুর রহমান। তাঁর বিরুদ্ধে ভূরি ভূরি অভিযোগ জমা পড়লেও তাঁকে গ্রেফতার করা হয়নি। এবিষয়ে মিজানুর রহমান বলেন, এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। সিপিএমের আমলে জমির পাট্টা দেওয়ার ব্যাপারটা ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতর দেখে। সন্দেশখালির ওই এলাকার জমির সঙ্গে আমার কোনও যোগসূত্র নেই।
সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কয়েক দশক আগের সন্দেশখালির এই এলাকার কয়েকটি জমির পাট্টা আছে, রেকর্ড নেই। আবার জমির রেকর্ড আছে পাট্টা নেই। সেই জমির প্রকৃত কাগজপত্র নিয়ে ধন্দে রয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
সন্দেশখালির তদন্ত ভার নিয়েছে সিবিআই। সে কারণেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার প্রতিনিধি দল বৃহস্পতিবার ডুগড়ি পাড়া ও রাজবাড়ি এলাকায় যায়। অভিযোগকারীদের বয়ান রের্কড করে।