শেষ আপডেট: 26th April 2024 00:16
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কলকাতা বা রাজ্যের কোনও জায়গার হোটেলে বিদেশের নাগরিকরা থাকতে চাইলে রেজিস্টার খাতায় নাম এন্ট্রি করার সময়ই হোটেল কর্তৃপক্ষর তরফে সংশ্লিষ্ট অতিথিকে পুলিশের দেওয়া ‘সি ফর্ম’ পূরণ করানো হয়। এটা বাধ্যতামূলক।
হোটেল থেকে সেই তথ্য পৌঁছে যায় থানায়। উদ্দেশ্য একটাই, বিদেশে কেউ কোনও অপরাধ করে এরাজ্যে গা ঢাকা দিতে চাইলে তা সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের নজরে চলে আসে। কিন্তু দেশের যেকোনও প্রান্ত থেকে যে কেউ কলকাতা বা জেলা শহরের হোটেলে উঠলে এতদিন এই ধরনের কোনও ফর্ম পূরণ করতে হত না।
তবে অদূর ভবিষ্যতে বিদেশি নাগরিকদের মতো এদেশের বাসিন্দাদের হোটেলে থাকতে হলে এই ধরনের ফর্ম পূরণ করতে হতে পারে।
লালবাজার সূত্রের খবর, এজন্য একটি বিশেষ পোর্টাল চালুর ভাবনা চিন্তা চলছে। ফলে দেশের কোনও প্রান্তে অপরাধ ঘটিয়ে কলকাতা বা রাজ্যের অন্যত্র হোটেলে কেউ গা ঢাকা দিতে চাইলে সঙ্গে সঙ্গে তা পুলিশের নজরে চলে আসবে।
হঠাৎ এই ভাবনা কেন? লালবাজার সূত্রের দাবি, বিষয়টি নিয়ে চিন্তাভাবনা আগে থেকেই চলছিল। তবে সাম্প্রতিক দুটি ঘটনার পর এ ব্যাপারে তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে।
কোন দুটি ঘটনা? লালবাজার সূত্রের দাবি, বেঙ্গালুরুর রামেশ্বরম ক্যাফেতে বিস্ফোরণের ঘটনায় গত ১১ এপ্রিল রাতে রাজ্য পুলিশের সহযোগিতায় পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি থেকে দুই জঙ্গিকে গ্রেফতার করে এনআইএ। ধৃতদের জেরা করে গোয়েন্দারা জানতে পারেন, বেঙ্গালুরু বিস্ফোরণে অভিযুক্ত আবদুল মতিন তহ্বা এবং মুসাভির হুসেন সাজিদ কলকাতায় টানা ১৯ দিন একের পর হোটেলে গা ঢাকা দিয়েছিলেন।
দ্বিতীয় ঘটনা, গত সোমবার সাংবাদিক বৈঠক করে কলকাতা পুলিশ জানিয়েছিল,জঙ্গি টার্গেটে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা ডায়মন্ডহারবার লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই ঘটনায় রাজারাম রেগে নামে এক অভিযুক্তকে সোমবার মুম্বই থেকে গ্রেফতার করে লালবাজার।
লালবাজার সূত্রের খবর, রাজারাম কলকাতায় শেক্সপিয়ার সরণি এলাকার একটি হোটেলে উঠেছিলেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর পিএ-র মোবাইল নম্বরও জোগাড় করেছিলেন তিনি। শুধু তাই নয়, অভিষেকের আপ্তসহায়কের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন রাজারাম। তারপরই নাকি অভিষেকের বাড়ির সামনে থেকে ঘুরে যান তিনি।
বস্তুত, এই দুটি ক্ষেত্রেই অভিযুক্তরা কলকাতার হোটেলে উঠলেও পুলিশের কাছে এ বিষয়ে সেই সময় কোনও তথ্যই ছিল না। সূত্রের দাবি, সে কারণেই এবার থেকে হোটেলগুলিতে নজরদারি বাড়ানোর ভাবনাচিন্তা চলছে। সেই সূত্রেই নয়া পোর্টালের পরিকল্পনা।