রাস্তার বেহাল দশা, ইঞ্জিনিয়ারের কাছে কৈফিয়ত চাইলেন তৃণমূল সাংসদ কীর্তি আজাদ।
শেষ আপডেট: 17th July 2024 00:13
দ্য ওয়াল ব্যুরো: নবনির্মিত রাস্তায় নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ করেছিলেন গ্রামবাসীরা। স্পটে গিয়ে সাংসদও দেখলেন, গ্রামবাসীরা ভুল কিছু বলেননি। তৈরির এক মাসের মধ্যে নবনির্মিত রাস্তা থেকে কীভাবে স্টোনচিপ উঠতে পারে, জনতার সামনেই সরকারি ইঞ্জিনিয়ারের কাছে সেই কৈফিয়ত চাইলেন বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল সাংসদ কীর্তি আজাদ।
কড়া মাস্টারমশাইয়ের ধাঁচে ’৮৩-র বিশ্বকাপজয়ী ভারতীয় ক্রিকেট দলের সদস্য সরকারি আধিকারিকের কাছে জানতে চাইলেন, "গ্রামবাসীরা তো আপনাদের কাছেও অভিযোগ জানিয়েছিলেন। অভিযোগ খতিয়ে দেখার মতো সময় হল না কেন?"
ক্ষুব্ধ সাংসদ রাস্তা থেকে স্টোনচিপ কুড়িয়ে অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারের জিনসের পকেটে জোর করে ভরে দিয়ে বললেন, "যে সংস্থা এই রাস্তা করেছে, তাদেরকে এই স্টোনচিপ দিয়ে বলবেন, দ্রুত রাস্তা ঠিক করে দিতে। আমি আবার আসব।"
সাংসদের এমন 'রণংদেহী মূর্তি' দেখে খুশিতে হাততালি দিয়ে উঠল জনতা। কেউ কেউ সিনেমার ফাটাকেষ্টর সঙ্গেও সাংসদের তুলনা টানলেন। পূর্ব বর্ধমানের গলসির মনোহর-সুজাপুরের ঘটনা।
গ্রামবাসীরা জানান, রাস্তা তৈরির সময়ই নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার নিয়ে অভিযোগ করা হয়েছিল। কিন্তু তখন সে কথাকে গুরুত্ব দেয়নি সরকারিবাবুরা। তৈরির একমাসের মধ্যেই স্টোনচিপ উঠতে শুরু করেছে। বৃষ্টি হলেই সব দুয়ে রাস্তা আগের অবস্থায় ফিরবে।
তবে সাংসদের এমন ভূমিকায় খুশী স্থানীয়রা। তাঁদের কথায়, "প্রকৃত জনপ্রতিনিধি এমনই হওয়া উচিত।" আর কীর্তি আজাদ বলেন, "বাংলার মানুষের ভালর জন্য দিদি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) চেষ্টার কসুর করছেন না। কিন্তু কিছু ঠিকাদার, আধিকারিকের জন্য মানুষ সরকারি প্রকল্পের সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।" এ ব্যাপারে জেলাশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ জানাবেন বলেও জানিয়েছেন সাংসদ।