শেষ আপডেট: 2nd August 2024 17:29
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কেরলের ওয়ানাড় জেলার চুরালমালা এবং মুন্ডাক্কাইয়ে ধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩৩৩। শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত ২৮১ জনের এখনও খোঁজ নেই। প্রকৃতির এই তাণ্ডবলীলার মধ্যেই এদিন বৃষ্টি ও ধসের কারণে ধুয়েমুছে যাওয়া চুরালমালায় ৪০ দিনের শিশু আনার এবং তার ৬ বছরের দাদা মহম্মদ হায়ানকে উদ্ধার করা হয়। পোটাম্মলের এই পরিবারের বাড়ি-ঘরদোর সব ভেসে গিয়েছে। তাদের পরিবারের মা তানজিরা, ঠাকুমা আমিনা এবং ঠাকুমার মা পাথুম্মাসহ ৬ জন জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছিলেন। কিন্তু, আশ্চর্যজনকভাবে এই দুই শিশুকে কেড়ে নিতে পারেনি প্রকৃতির করাল গ্রাস।
তানজিরা দুধের শিশু মেয়েকে বাঁচানোর তাগিদে তাকে জড়িয়ে ধরে একটি ছাদের অংশকে চেপে ধরে ঝুলতে থাকেন। কিন্তু, জলের চাপে একসময় কোল থেকে পড়ে গেলেও বাচ্চার হাত চেপে ধরতে সক্ষম হন তানজিরা। তাতে বাচ্চাটির হাত জখম হলেও আপাতত সে সুস্থ আছে। অন্যদিকে, হায়ান জলের বেগে প্রায় ১০০ মিটার দূরে ছিটকে চলে যায়। তাকে একটি কুয়োর দড়ির সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।
এদিকে চুরালমালা পাহাড়ের খাঁজ থেকে একটি আদিবাসী বনবাসী পরিবারকে উদ্ধার করেছে বন দফতর। প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে বনকর্তারা দুর্গম প্রান্তিক জায়গা থেকে চার শিশুসহ একটি পরিবারকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে আসেন কর্তারা।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উদ্ধারকাজ বন্ধ রাখা হলেও এদিন সকাল থেকে ফের ত্রাণ ও উদ্ধারে নামে সেনাবাহিনী। মুন্ডাক্কাইয়ে বাহিনীর থার্মাল স্ক্যানার মাটির নীচে জীবিতের সন্ধান পাচ্ছে। ওখানে স্থানীয় একটি দোকানের কাছে স্ক্যানারের সিগন্যাল মিলেছে। মাটির তলায় মানুষ অথবা গবাদি পশুর অস্তিত্ব থাকতে পারে।
এদিন ৭৪টি বেওয়ারিশ দেহ একটি সরকারি জায়গায় পুঁতে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, আগামী ৪ আগস্ট পর্যন্ত চার জেলায় বৃষ্টির হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।