শেষ আপডেট: 1st August 2024 12:26
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কেরল, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড যখন প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিপর্যস্ত, সেই সময় আজ, বৃহস্পতিবার প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলায় নয়া বিল আসছে লোকসভায়। প্রাকৃতিক বিপর্যয় (সংশোধনী) বিল, ২০২৪-এ রাজ্য প্রাকৃতিক বিপর্যয় রেসপন্স বাহিনী, নগর বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষ গঠনের প্রস্তাব রয়েছে।
প্রসঙ্গত, কেরলে অতিভারী বৃষ্টির জেরে ওয়ানাড় জেলায় ভয়াবহ ভূমিধসে প্রায় ৩০০-র কাছাকাছি মানুষের প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে। নিখোঁজ আরও বহু। গতরাত, বুধবার, হিমাচল প্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডে মেঘভাঙা বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ইতিমধ্যেই কেরলের পরিস্থিতি নিয়ে রাজনৈতিক জলঘোলা শুরু হয়েছে। বিজেপি, কংগ্রেস ও সিপিএমের মধ্যে দায় নিয়ে চাপানউতোর চলছে। এরমধ্যেই এদিন সংসদে নয়া বিল আনতে চলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
এই বিলে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা এবং রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষকে আরও শক্তিশালীভাবে কাজ করার বিভিন্ন ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে জাতীয় ও রাজ্যস্তরের কর্তৃপক্ষকে নিজস্ব পরিকাঠামো এবং পরিকল্পনা তৈরি স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। আগে এইগুলি সম্পাদন করত জাতীয় ও রাজ্য এক্সিকিউটিভ কমিটি।
জাতীয় ও রাজ্যস্তরে বিপর্যয় সম্পর্কিত ডেটাবেস তৈরির সুযোগও এই বিলে রয়েছে। এর মধ্যে নতুন করে একটি নগর বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষ গঠনের প্রস্তাব রয়েছে। এগুলি রাজ্যগুলির রাজধানী এবং পুরসভা শহরের জন্য গঠিত হবে। এই সংশোধনী বিলের প্রয়োজনীয়তা হচ্ছে আগের অভিজ্ঞতা থেকে কিছু পরিবর্তন ও পরিবর্ধনের জন্য।
আইন যাই হোক, এই বিল আসছে এমন একটি সময়ে যখন গোটা দেশ মৌসুমি বায়ুর প্রকোপে বিপর্যয়ে ডুবে আছে। উত্তর থেকে দক্ষিণ ভারত পর্যন্ত প্রচণ্ড বৃষ্টির জেরে বহু শহরেই জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। আর তা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোরও।
দিল্লিতে অতিবৃষ্টির জেরে জনজীবন গতকাল রাত থেকেই বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। লখনউ শহর বুধবার বৃষ্টিতে ডুবে যায়। অন্যদিকে, কেরলের ওয়ানাড়ের পর হিমাচল ও উত্তরাখণ্ডেও মেঘভাঙা বৃষ্টিতে বিস্তীর্ণ অংশে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিশেষত এই প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য নির্বিচারে বনভূমি হত্যাকেই দায়ী করছেন আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা।
আর এ নিয়ে কংগ্রেসকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন রাজীব চন্দ্রশেখর। বিজেপির রাজ্যসভা সদস্য চন্দ্রশেখর বৃহস্পতিবার সকালে এক এক্সবার্তায় লিখেছেন, কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ যখন কেন্দ্রীয় পরিবেশ ও বনমন্ত্রী ছিলেন তখন বিশেষজ্ঞ কমিটি কেরল, ওয়ানাড় এবং পশ্চিমঘাটে ক্রমবর্ধমান ঝুঁকির কথা জানিয়েছিল। কিন্তু, সেই রিপোর্টের ব্যাপারে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি কেন। যদি সেদিন তা হতো তাহলে আজ এই পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হতো না। এতগুলি নিরীহ জীবন, পরিবার এবং জীবিকা বিপর্যস্ত হতো না। প্রচার সর্বস্ব রাজনীতি যাই হোক না কেন, এখন সময় এসেছে এইসব দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের জবাব দেওয়ার।