শেষ আপডেট: 1st August 2024 13:01
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ফের বিপর্যয় কেদারনাথে। মেঘভাঙা বৃষ্টিতে উত্তরাখণ্ডের কেদারনাথে অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। শৈবতীর্থে যাত্রাপথের অধিকাংশ মূল রাস্তা নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে। বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সেতু জলের তোড়ে ভেসে যাওয়ায় কেদারনাথ যাত্রা স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন উত্তরাখণ্ডের রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের সচিব বিনোদকুমার সুমন। প্রায় ২০০ পুণ্যার্থী আটকে পড়ে রয়েছেন। তার মধ্যে বাঙালি ভক্তরাও থাকতে পারেন বলে অনুমান।
তিনি আরও জানান. চারধামের সব রাস্তা খোলা রয়েছে। কেদারনাথের পায়ে চলার রাস্তাগুলি ভেঙে গিয়েছে। কেদারনাথের মোট ১০০টি সড়কপথ বন্ধ হয়ে গিয়েছে বৃষ্টিতে। রাস্তাগুলিকে দ্রুত স্বাভাবিক করার কাজ চালাচ্ছে রাজ্য সরকার। পরিস্থিতি পর্যালোচনায় মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি একটি জরুরি বৈঠক করেন এবং দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করেন।
বুধবার রাতে অতিভারী বৃষ্টিতে উত্তরাখণ্ডের বিস্তীর্ণ এলাকা বিপর্যস্ত। কেদারনাথ পথের রামবড়ায় দুটি সেতু জলের তোড়ে উড়ে গিয়েছে। ফলে দুদিকের যাত্রাপথ পুরোপুরি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে রয়েছে।
সোনপ্রয়াগ এবং গৌরীকুণ্ড যোগাযোগকারী রাস্তা নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে। রাস্তা ও সেতু ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় অন্তত ২০০ পুণ্যার্থী মাঝপথে আটকে পড়েছেন। তাঁদের নিরাপদে উদ্ধারের কাজ চলছে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে আপাতত কেদারনাথ যাত্রা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যদিও সোনপ্রয়াগ ও ভীমবলীর মধ্যে পায়ে চলার রাস্তায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে রয়েছেন পুণ্যার্থীরা।
রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী কিছু লোককে উদ্ধার করতে পারলেও এখনও বহু ভক্ত আটকে রয়েছেন। পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, ভীমবলীর কাছে পুণ্যার্থীদের আটকে রাখা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত যা খবর তাতে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। গৌরীকুণ্ডের তপ্তকুণ্ড এবং ঘোড়া পড়াও সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন।
পুলিশ-প্রশাসন জানিয়েছে, উত্তরাখণ্ডের ৫১টি রাস্তা ভেঙে গিয়েছে জলের তোড়ে। এদিকে, বৃষ্টি থামার কোনও লক্ষণ নেই। কুমায়ুনের চারটি জেলা ও গাড়োয়ালের তিনটি জেলায় অতিভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে।