শেষ আপডেট: 8th December 2023 14:27
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বৃহস্পতিবার চা বাগানের শ্রমিকদের সঙ্গে চা পাতা তুলতে দেখা গিয়েছিল রাজ্য প্রশাসনের প্রশাসনিক প্রধানকে। শুক্রবার কার্শিয়াঙের সভা থেকে তিনি পাহাড়বাসীকে অভয় দিলেন, কাজের জন্য আপনাদের বাইরে যেতে হবে না, সারা পৃথিবী আপনাদের কাছে আসবে।
মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “আপনারা পাহাড়কে শান্ত রাখার দায়িত্ব নিন। আমি কথা দিচ্ছি, পাহাড়ের উন্নয়নের দায়িত্ব আমার।”
মাঝে মধ্যেই অশান্ত হয়ে ওঠে পাহাড়। সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “কিছু লোক পাঁচ বছর অন্তর একবার করে জেগে ওঠে, পাহাড়কে অশান্ত করার চেষ্টা করে। অশান্তি হলে শিল্পপতিরা বিনিয়োগ করবে কেন? তাই আমি আপনাদের বলে যাচ্ছি, পাহাড়কে শান্ত রাখার দায়িত্ব আপনারা নিন, উন্নয়নের দায়িত্ব আমার।”
নাম না করে বিজেপিকেও আক্রমণ শানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। পাহাড়বাসীর উদ্দেশে বলেন, “ভোটের সময় অনেকে আসে, অনেক লোভ দেখিয়ে যায়। অ্যাকাউন্টে লাখ লাখ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু কিচ্ছু করে না। আমাদের রক্তে রয়েছে, প্রতিজ্ঞা কীভাবে রক্ষা করতে হয়, আমরা সেটা জানি।”
মুখ্যমন্ত্রী জানান, কার্শিয়াঙে আইটি হাব তৈরি করা হবে। দার্জিলিং, কালিম্পং, মিরিক, কার্শিয়াংকে ঘিরে একাধিক ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প স্থাপন করা হবে। ইতিমধ্যে বহু শিল্প সংস্থা রাজ্যের সঙ্গে যোগাযোগও করেছে।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার শিলিগুড়ির কাওয়াখালিতে বিশ্ববাংলা শিল্পীহাটের প্রাঙ্গণে ‘উত্তরবঙ্গ বাণিজ্য মেলা’র আয়োজন করা হয়েছিল। ওই অনুষ্ঠান থেকে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী জানিয়েছিলেন, টি-টুরিজম, রিয়েল এস্টেট, হোটেল, কৃষি সামগ্রী, খাদ্য ও উদ্যানপালন, হসপিটালিটি-সহ একাধিক বিভাগে বিভিন্ন শিল্প সংস্থা পাহাড়ে ২৪ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছে। শীঘ্রই শিল্পস্থাপনের প্রক্রিয়া শুরু হবে।
এদিনের অনুষ্ঠান থেকে মমতা জানান, উত্তরবঙ্গের ৩ লক্ষ চা শ্রমিককে পাকা বাড়ি তৈরি করে দেবে রাজ্য। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, "যাঁরা বাড়ি চাইবেন বাড়ি, যাঁরা পাট্টা চাইবেন তাঁদের আমরা পাট্টার ব্যবস্থা করে দেব।”
২০২৪ সালের মধ্যে পাহাড়ের প্রতিটি বাড়িতে পানীয় জলের লাইন পৌঁছে দেওয়া হবে বলেও এদিন জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “দার্জিলিংয়ের ৩ লাখ ৩২ হাজার ঘরে পানীয় জলের লাইন পৌঁছে দেওয়ার টার্গেট নেওয়া হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ৮৩ হাজার বাড়িতে পৌঁছে গেছে। কালিম্পঙে টার্গেট ৬৫ হাজার বাড়ি, পৌঁছেছে ২২ হাজার ঘরে। মনে রাখবেন দিল্লি নয়, বাড়ি বাড়ি পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার কাজ আমরা নিজেদের টাকায় করেছি।”
পাহাড়ের যে সমস্ত স্কুলে শিক্ষক সমস্যা রয়েছে সেখানে শীঘ্রই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে বলেও এদিন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এক্ষেত্রে স্থানীয়রাই অগ্রাধিকার পাবেন বলে তিনি জানান।