শেষ আপডেট: 18th June 2024 17:15
দ্য ওয়াল ব্যুরো, শিলিগুড়ি: বাবা-মায়ের সঙ্গে মাটিগাড়ায় মামাবাড়ি গিয়েছিল ছ'বছরের ছোট্ট স্নেহা। আর বাড়ি ফেরা হল না তার। মালদহের কালীগঞ্জের বাড়িতে ফিরল তার নিথর দেহ। তার বাবা-মা এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
মালদহের চাঁচলের বাসিন্দা মহীলাল মণ্ডল। স্ত্রী ও ৬ বছরের মেয়ে স্নেহাকে নিয়ে আত্মীয়ের বাড়ি থেকে ফিরছিলেন। সোমবার নিউ জলপাইগুড়ি থেকে ট্রেনের পিছন দিকে জেনারেল বগিতে উঠেছিল তাঁরা। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটে যায় সেই মর্মান্তিক ঘটনা। মালগাড়ির ধাক্কায় দুমড়ে মুচড়ে যায় কামরাটি। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় মা-বাবা ও মেয়েকে। সেখানে অস্ত্রোপচারও হয় ছোট্ট স্নেহার। কিন্তু বাঁচানো গেল না তাঁকে। বাবা-মা বেঁচে গেলেও হাসপাতালে মৃৃত্যু হয় ক্লাস টু-এর ছাত্রীর।
স্নেহার বাবা স্কুল শিক্ষক। মা ছবি মণ্ডল চাঁচলের ক্ষেমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্যা। শিশুটির মৃত্যুর খবর জানাজানি হতেই শোকের ছায়া নামে স্নেহার বাড়ি ও মামার বাড়িতে। দুই বাড়িতেই বড় আদরের ছিল সে। কাকা শ্যামল মণ্ডল বললেন, "শিলিগুড়িতে মামারবাড়িতে ঘুরতে এসেছিল, আর ঘরে ফেরা হল না তার।"
এই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় মৃত্য়ু হয়েছে দশজনের। তার মধ্যে রয়েছেন মালগাড়ির চালক ও কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের গার্ডও। মেয়ের সঙ্গে ফাদার্স ডে পালন করবেন বলে ডিউটি বদল করেছিলেন কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের গার্ড আশিস দে। তাঁর নিথর দেহ ফিরল শিলিগুড়ির সুকান্ত পল্লির বাড়িতে। অবসরের পর এক্সটেনশনে থাকা ফুলবাগানের বাসিন্দা শঙ্করমোহন দাসেরও দেহ ফিরল মঙ্গলবার।