শেষ আপডেট: 12th October 2023 20:58
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কামদুনির নির্যাতিতার সুবিচারের আশায় বৃহস্পতিবার সন্ধে থেকে রাজধানী দিল্লির যন্তরমন্তরে ধর্নায় বসলেন মৌসুমী কয়াল, টুম্পা কয়ালরা। তাঁদের সঙ্গে রয়েছেন নির্যাতিতার দুই ভাইও। পোস্টার হাতে ধর্নায় বসেছেন তাঁরা। তাতে লেখা, ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’।
রাজধানীতে দাঁড়িয়ে মৌসুমী, টুম্পারা বলেন, , “নিম্ন আদালতের সব তথ্য হাইকোর্টে হাজির করেনি রাজ্য। সেকারণেই অভিযুক্তরা জামিন পেয়ে গেছেন। তা বলে ধর্ষকরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াবে, এটা মেনে নেব না। তাই শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হওয়া।”
গত শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে কামদুনি গণধর্ষণ কাণ্ডের ৬ জন অভিযুক্তের ৪ জনই মুক্তি পেয়ে গিয়েছেন। আদালতের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বুধবারই শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন কামদুনির প্রতিবাদী মুখ মৌসুমী, টুম্পা সহ নির্যাতিতার পরিবার।
এদিন যন্তরমন্তরে ধর্নায় বসার আগে জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মার সঙ্গে দেখা করেন তাঁরা। বস্তুত, প্রত্যক্ষভাবে আন্দোলনকারীদের পাশে রয়েছেন বিজেপির একাংশ নেতৃত্ব। তাঁদের সহযোগিতাতেই এদিন রেখাদেবীর সঙ্গে দেখা করেন মৌসুমীস, টুম্পারা। জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করার পর তাঁরা জানান, রেখাদেবীর সঙ্গে কথা হয়েছে। উনি জানিয়েছেন পুজোর পর কামদুনি গ্রামে যাবেন।
শুধু জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সেনই নয়, এদিন নির্ভয়ার পরিবারের সঙ্গে দেখাও করেন টুম্পা, মৌসুমীরা। নির্ভয়ার মাকেও ধর্না মঞ্চে হাজির হওয়ার আহ্বান জানান তাঁরা।
২০১৩ সালের কামদুনি গণধর্ষণ মামলায় গত শুক্রবার রায় ঘোষণা করে কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, নিম্ন আদালতে যাদের ফাঁসির সাজা দেওয়া হয়েছিল, সেই সাজা রদ করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, যেসব অভিযুক্তদের আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছিল নগর দায়রা আদালত, তাদের বেকসুর খালাসের নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ। আদালত জানিয়েছে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যথেষ্ট প্রমাণের অভাবেই এই রায় দেওয়া হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টে রায়ের কপিতে উল্লেখ করেছে, এই অপরাধ পূর্ব পরিকল্পিত এবং ষড়যন্ত্রমাফিক ঘটানো হয়েছে, তা সন্দেহের ঊর্ধ্বে প্রমাণে ব্যর্থ হয়েছে সরকারপক্ষ। এরপরই নির্যাতিতার দুই ভাইকে নিয়ে দিল্লি যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন মৌসুমী, টুম্পারা।