শেষ আপডেট: 25th July 2024 13:13
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মার্কিন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে জো বাইডেন সরে দাঁড়ানোর পরে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির বহু সমর্থন পেয়েছেন কমলা হ্যারিস। বুধবার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার সময়ে কমলার উদ্দেশে বিপুল প্রশংসাও করেন জো বাইডেন। আগামীর নেত্রী হিসেবে কমলাকে বিশেষ মর্যাদাও দেন। তবে এত সমর্থনের মাঝে বেসুরো আমেরিকার প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। তিনি কমলা হ্যারিসকে 'যোগ্য' বলে মনে করেন না রাষ্ট্রপতি পদের জন্য। পাশাপাশিই তিনি মনে করেন, রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে পরাজিত করার ক্ষমতা কমলা হ্যারিসের নেই।
সম্প্রতি ওবামার এক ঘনিষ্ঠ সূত্র মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক পোস্টকে বলেন, ‘কমলা হ্যারিস প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর দৌড়ে এগিয়ে যাওয়ায় বারাক ওবামা হতাশ হয়েছেন। তিনি মনে করেন, কমলা হ্যারিস কোনওভাবেই জয়ী হতে পারবেন না।’ পাশাপশি ওই সূত্র জানিয়েছে, ওবামা বলেছেন, যে কমলা হ্যারিস কখনও দেশের সীমান্ত ঘুরে দেখেননি, সমস্যাগুলি বোঝেননি। অভিবাসীদের সম্পর্কে তাঁর কোনও ধারণা নেই। অভিবাসীদের যে স্বাস্থ্যবিমা থাকা উচিত, তা তিনি জানেনই না। এসব ছাড়াও তাঁর আরও অনেক অযোগ্যতা রয়েছে।
নিউইয়র্ক পোস্ট ওই সূত্র মারফত জানিয়েছে, ‘জো বাইডেন নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান, এমনটা ওবামা মনেপ্রাণে চাইছিলেন। তিনি হলিউড অভিনেকা জর্জ ক্লুনিকে দিয়ে এ জন্য একটি নিবন্ধও লিখিয়েছিলেন মার্কিন গণমাধ্যমগুলিতে। বাইডেনকে প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর দৌড় থেকে সরানোটা পরিকল্পিতই ছিল। তবে কমলা হ্যারিসকে সেই পদে ভাবেননি ওবামা।’
তাহলে ওবামার পছন্দের সম্ভাব্য প্রার্থী কে ছিলেন?
জানা গেছে, আগামী মাসে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির যে ন্যাশনাল কনভেনশন অনুষ্ঠিত হবে, সেখানেই অ্যারিজোনার সিনেটর মার্ক কেলির নাম প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে তুলে ধরবেন বলে ঠিক করেছিলেন বারাক ওবামা। কিন্তু তার আগেই ডেমোক্র্যাটিক দলে কমলা হ্যারিসের প্রতি সমর্থন উপচে পড়েছে। এতে নাকি ওবামা বেশ ক্ষুব্ধ ও হতাশ হয়েছেন। তিনি দলের কনভেনশনে যোগ না-ও দিতে পারেন।
আবার আমেরিকার এনবিসি নিউজ দাবি করছে, কমলা হ্যারিসকেই সমর্থন জানাতে চলেছেন বারাক ওবামা। তিনি হ্যারিসের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগও রাখছেন বলে অন্দরমহলের খবর। নির্বাচনী প্রচারেও খুব শিগগিরই কমলা হ্যারিসের পাশে ওবামাকে দেখা যেতে পারে।
প্রসঙ্গত, ডেমোক্র্যাটিক পার্টিতে ডেলিগেটের সংখ্যা প্রায় চার হাজার। কমলা হ্যারিস এর মধ্যেই ১ হাজার ৯৭৬ জনের সমর্থন পেয়ে গেছেন। প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হওয়ার জন্য যা যথেষ্ট। জোরকদমে প্রস্তুতিও নিচ্ছেন ভোটে লড়ার। শেষ মুহূর্তে রাজনীতির কোনও অভাবনীয় চাল না ঘটলে, তিনিই লড়বেন প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসেবে।