Advertisement
Advertisement
শেষ আপডেট: 24 May 2024 15:27
দ্য ওয়াল ব্যুরো, ঝাড়গ্রাম: একমাত্র মাওবাদী অধ্যুষিত জেলা হলেও মাওবাদী নয়, এবার মাথা ব্যথার কারণ হাতি। ১০০হাতি দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ঝাড়গ্রাম জেলা জুড়ে। তাদেরকে সামাল দিয়ে সুষ্ঠুভাবে ভোট করাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ বনদফতরের।
হাতি নিয়ে এই মুহূর্তে নাজেহাল ঝাড়গ্রাম জেলা। ভোটের দিন এবং তার আগের দিন হাতিকে সামাল দেওয়ার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হল। ঝাড়গ্রাম জেলার বনাঞ্চল চারটি ডিভিশনে বিভক্ত। এই চারটি ডিভিশনে প্রায় একশোটার কাছাকাছি হাতি রয়েছে। তারমধ্যে শুধু ঝাড়গ্রাম ডিভিশনেই রয়েছে ৭৩টি হাতি। খড়গপুর ডিভিশনে রয়েছে ২২টি হাতি। বাকি দুটো-তিনটে করে হাতি রয়েছে মেদিনীপুর এবং রূপনারায়ণ ডিভিশনে।
হাতির গতিবিধি অনুযায়ী ঝাড়গ্রাম ডিভিশন ইতিমধ্যে ১৪০ টি বুথকে সেনসিটিভ চিন্হিত করেছে। বাকি তিনটি ডিভিশনে সেনসিটিভ বুথের সংখ্যা দুশোর বেশি। জঙ্গল লাগোয়া এই বুথগুলোতে থাকছে বিশেষ নজরদারি। রেঞ্জ অনুযায়ী ভাগ করে সেই সমস্ত রেঞ্জে তিন থেকে পাঁচটি করে মোবাইল টিম, দুটো করে হুলা টিম, এবং তিনটি করে গাড়ির ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। এর সাথে হাতি রুখতে ঐরাবত যানকে প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবহার করা হবে।
বন দফতর সূত্রে জানা গেছে, কর্মীরা যখন জঙ্গল লাগোয়া বুথগুলোয় যাবেন তখন আগে থেকে হাতির গতিবিধি জেনে নিরাপদে রাস্তা দিয়ে তাদের নিয়ে যাওয়া হবে। বুথ এলাকার কাছাকাছি হাতি থাকলে সঙ্গে সঙ্গে হুলা দিয়ে সরিয়ে দেওয়া হবে নিরাপদ দূরত্বে। ইতিমধ্যেই হাতির গতিবিধির উপর নজর রাখা শুরু করেছে বন দফতর। ভোর ভোরই ভোটাররা লাইনে দাঁড়ান। জঙ্গলের রাস্তা ধরে যাতায়াত করেন। হাতি থাকলে রাত থেকেই সেই সমস্ত জঙ্গলের রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। বসানো হচ্ছে ড্রপ গেটও। সবমিলিয়ে হাতির হানায় যাতে কোনও ভোটারের ক্ষতি না হয়, তারজন্য সব রকম ব্যবস্থা করা হয়েছে জঙ্গলমহল জুড়ে।
Advertisement
Advertisement