শেষ আপডেট: 30th July 2024 16:54
দ্য ওয়াল ব্যুরো: চিচিং ফাঁক! সাক্ষাৎ নারায়ণ জগন্নাথদেবের রত্নভাণ্ডারে চুরি! এমনই স্বর্গ দুলিয়ে দেওয়া অভিযোগ উঠেছে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের রত্নভাণ্ডারের অমূল্য ধনরাজি নিয়ে। জগন্নাথের রত্নভাণ্ডার নিয়ে রহস্য-জল্পনা ও অলৌকিক কাহিনির ইয়ত্তা নেই। এবার সেই রহস্য আরও ঘনীভূত হল বিপুল সম্পদের ভাণ্ডারে দুর্মূল্য রত্ন চুরির অভিযোগে।
রত্নভাণ্ডারের সম্পদ এবং তা মেরামতের বিষয়ে গঠিত বিশেষ কমিটির এক সদস্য এই সন্দেহ ও অভিযোগ তুলেছেন। তিনি বলেছেন, রত্নভাণ্ডারের দ্বিতীয় চাবি বা ডুপ্লিকেট চাবি দিয়ে তালা খুলে আগেই কিছু মূল্যবান গয়না ও সামগ্রী সরিয়ে ফেলা হয়ে থাকতে পারে।
দ্বাদশ শতকের পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের রত্নভাণ্ডার প্রায় ৪৬ বছর পর খোলা হয় সম্প্রতি। বিজেপি নেতৃত্বাধীন নবগঠিত রাজ্য সরকার আগের কমিটি ভেঙে নতুন কমিটি গড়ে দেয়। এই কমিটির তদারকিতে রত্নভাণ্ডারের ভিতর ও বাহির প্রকোষ্ঠ খোলা হয়। এবং সেখান থেকে সমস্ত অলঙ্কার, সোনাদানা, মুদ্রা সরিয়ে অস্থায়ী স্ট্রংরুমে স্থানান্তরিত হয় গত ১৪ ও ১৮ জুলাই।
সন্দেহ প্রথম দানা বাঁধে যখন কমিটি ১৪ জুলাই তিনটি তালা ভাঙে তখন। সেই সময়ই ধরা পড়ে মন্দির প্রশাসনের কাছে যে ডুপ্লিকেট চাবি ছিল, তা কাজ করছে না। সোমবার চেয়ারম্যান বিশ্বনাথ রথের পৌরোহিত্যে কমিটির বৈঠকের পর এক সদস্য জগদীশ মহান্তি বলেন, ডুপ্লিকেট চাবি কাজ না করায় তালা ভাঙতে হয়েছিল। এতেই প্রমাণ হয় যে, এর পিছনে অপরাধমূলক উদ্দেশ্য ছিল। মূল্যবান সামগ্রী হাতানোর জন্য আগেই কিছু মাল সরিয়ে ফেলাও অসম্ভব নয় বলে জানান তিনি।
রত্নভাণ্ডারের ভিতর প্রকোষ্ঠের আসল চাবি গত ২০১৮ সাল থেকে হারিয়ে গিয়েছে। যার পরেই তৎকালীন নবীন পট্টনায়ক সরকার ওড়িশা হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রঘুবীর দাসের নেতৃত্বে তদন্তের নির্দেশ দেয়।
কমিটির সদস্য রাজস্থান ক্যাডারের অবসরপ্রাপ্ত আমলা মহান্তি জানান, ফৌজদারি তদন্তের সুপারিশ করার এক্তিয়ার কমিটির নেই। ভিতর ভাণ্ডারে রয়েছে তিনটি কাঠের আলমারি, একটি স্টিলের আলমারি, দুটি কাঠের সিন্দুক, একটি লোহার সিন্দুক। তার মধ্যে কেবল একটি কাঠের আলমারি তালাবন্ধ ছিল।