শেষ আপডেট: 24th April 2024 10:58
দ্য ওয়াল ব্যুরো: নবীন আগন্তুক…
এ যেন চমৎকার। বোমার আঘাতে ঝলসে গেছে একটা পরিবার। গর্ভে সন্তান নিয়েই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন মা। কিন্তু গর্ভস্থ শিশুর গায়ে আঁচটুকু লাগেনি। মাতৃ জঠরে তখনও বেঁচে ছিল শিশুটি। চিকিৎসকদের তৎপরতায় ভূমিষ্ঠ হয় নবজাতক। ধীরে ধীরে সুস্থও হয়ে উঠছে সে।
দক্ষিণ গাজায় লাগাতার হামলা চালাচ্ছে ইজরায়েলি সেনা। বোমা বর্ষণে ছারখার হয়ে যাচ্ছে বাড়িঘর। দুদিন আগেই রাফা শহরের দুটি বাড়ি আছড়ে পড়েছিল মিসাইল। এই হামলায় প্রাণ হারান ৩০ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা সাবরীন আল-সাকানি। মৃত্যু হয় তাঁর স্বামী ও ছোট্ট মেয়ে মালাকের। সাবরীনকে যখন হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় তখনই চিকিৎসকরা বুঝেছিলেন চমৎকার হয়েছে। সাবরীনের শরীরে প্রাণ নেই, কিন্তু গর্ভস্থ সন্তান দিব্যি সুস্থ রয়েছে। তখনই সি-সেকশন করে বের করা হয় শিশুটিকে।
ছোট্ট মালাক চেয়েছিল তার বোন হবে। তাই হয়েছে। কিন্তু বোনের সঙ্গে খেলার জন্য সে আর পৃথিবীতে নেই। গোটা পরিবারই শেষ হয়ে গেছে ইজরায়েলি ফৌজের বোমার আঘাতে। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ইজরায়েলি বাহিনীর নিন্দায় সরব হয়েছে বিশ্ব। জানা গেছে, রাফার একটি হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে মা-বাবাহারা শিশুটির। চিকিৎসক মহম্মদ সালামার তত্ত্বাবধানেই চিকিৎসা চলছে বাচ্চাটির। তিনি জানান ধীরে ধীরে চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে উঠছে শিশুটি।
প্যালেস্টাইনের স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দাবি, ইজরায়েলের এই হামলায় দুটি পরিবারের ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। যার মধ্যে অধিকাংশই শিশু। ইজরায়েলি সেনার আক্রমণে প্রাণ হারিয়েছে অন্তত ১৩টি বাচ্চা। উত্তর ও মধ্য গাজায় হামলা চালাচ্ছে ইজরায়েলি ট্যাঙ্ক ও গানবোট। বোমাবর্ষণে ১০ বছরের এক ছেলের মৃত্যও হয়েছে। ইজরায়েল দাবি করেছে, হামাস ৭০টি রকেট ছুড়েছে। এর মধ্যে একটি রকেট ইজরায়েলের আসকালোনের একটি বাড়িতে পড়ে। এই ঘটনায় কয়েক জন আহত হয়েছেন। আশদোদে একটি শিশুদের স্কুলের কাছে রকেট আক্রমণ হয়। লেবানন থেকেও উত্তর ইজরায়েলে রকেট হামলা হয়। তারপরেই ইজরায়েল পাল্টা হামলা চালাচ্ছে। গতকালও গাজায় ইজরায়েলি হানায় সাত জন প্যালেস্তিনির মৃত্যু হয়েছে।