শেষ আপডেট: 23rd March 2024 17:20
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ২২ গজের পিচে 'বিধ্বংসী' তৃণমূল প্রার্থী ইরফান পাঠান এবং লোকসভার বিরোধী দলনেতা কংগ্রেসের অধীর চৌধুরীকে 'পাঙ্গা' দিতে এবার বহরমপুরে বসছে ৫০ হাজার কণ্ঠে গীতাপাঠের আসর। দোলের আগের দিন, রবিবার, ২৪ মার্চ, কৃষ্ণভক্তির এই নমুনা দেখবে বহরমপুরের ওয়াই এম এ ময়দান। বিজেপি অবশ্য প্রত্যক্ষভাবে এই গীতাপাঠের আয়োজন করেনি, কিন্তু রাজনৈতিক মহলের মতে, মূলত পাঠান এবং বহরমপুরের ভূমিপুত্র অধীরকে বেকায়দায় ফেলাই এ ধরনের কর্মসূচির উদ্দেশ্য।
উল্লেখ্য, গতবছর ডিসেম্বরে কলকাতার ব্রিগেড ময়দানে লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ কর্মসূচি নিয়ে সাড়া পড়েছিল। কিন্তু, এবার কোন প্রয়োজনে বহরমপুরের মতো ছোট্ট একটা শহরে এ ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন খোদ কংগ্রেস প্রার্থী অধীর চৌধুরী। রাজ্য কংগ্রেস সভাপতি অধীরের বক্তব্য, অকারণে গীতাপাঠের নামে ভোটের বাজার গরম করার চেষ্টা চলছে। এটা সমাজের পক্ষে হিতকর নয়।
কলকাতার গীতাপাঠের অনুষ্ঠানে আসার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। কিন্তু তিনি না আসলেও রাজ্য বিজেপির চুনো থেকে বড় নেতারা সেই অনুষ্ঠানে ছিলেন। লোকসভা ভোটের আগে এই কর্মসূচি ধর্মীয় মেরুকরণের চেষ্টা বলে মনে করছে বিরোধীরা। কারণ এই কেন্দ্র থেকে তৃণমূল কংগ্রেস প্রাক্তন ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠানকে দাঁড় করিয়েছে। ফলে কেন এই কর্মসূচি অনুমতি দেওয়া হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অধীরও।
শনিবার অধীর বলেন, গীতাপাঠে তো কাউকে বারণ করা যায় না। ভোটের আগে একটা সভা করতে দেয় না প্রশাসন। সাংসদ তহবিলের কাজ করতে দেওয়া হয় না। হঠাৎ করে গীতাপাঠের নামে কী বার্তা দিতে চাইছে এটা সবাইকে বুঝতে হবে। তিনি আরও বলেন, প্রত্যেক হিন্দু পরিবারের ঘরে ঘরে গীতা আছে। উৎসবের আকারে সেই গীতাপাঠের আসর বসিয়ে বাজার গরম করার চেষ্টাকে হিতকর বলে মনে করেন না বহরমপুরের বিদায়ী সাংসদ।
তাঁর অভিযোগ, প্রশাসন অনুমতি কেন দিল! কার নির্দেশে এটা হচ্ছে। তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের নেতারা কোথাও চণ্ডীপাঠ করছেন, কোথাও গীতাপাঠ হচ্ছে। প্রশাসন চুপ করে দেখছে। গীতাপাঠ তো ঘরে বসেও করা যেত। আসলে এর পিছনের রহস্য বুঝতে বিজ্ঞানের প্রয়োজন পড়ে না। এ প্রসঙ্গে গীতাপাঠের অন্যতম উদ্যোক্তা কার্তিক মহারাজ বলেন, এর সঙ্গে রাজনীতির সম্পর্ক নেই। গীতা শাশ্বত, সনাতন। হাজার হাজার বছর ধরে গীতা সভ্যতাকে পথ দেখাচ্ছে। সমাজকে এক সুতোয় বাঁধে গীতা।