শেষ আপডেট: 29th August 2020 18:30
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ঋতু বদলে জ্বর, সর্দি-কাশির হানায় প্রাণ ওষ্ঠাগত। গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো আছে নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট। আর ইনফ্লুয়েঞ্জা ধরা পড়লে তো কথাই নেই। আরও এক সংক্রামক ভাইরাস যা শরীরকে রীতিমতো নাস্তানাবুদ করে ছাড়ে। এতদিন ভাইরাল ফ্লু নিয়েই মাথা ঘামাচ্ছিল মানুষজন, এ বছরে চেপে বসেছে করোনাভাইরাস। ইনফ্লুয়েঞ্জার সমগোত্রীয় না হলেও রোগের ধরনে মিল আছে। আবার করোনার কোপে নিউমোনিয়া, জ্বর, সর্দি-কাশি তথা ভাইরাল ফ্লুয়ের সব উপসর্গই পরপর দেখা দেয়। করোনাভাইরাস এবং ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস যে একসঙ্গে শলা পরামর্শ করে শরীরে হানা দেবে না, সে গ্যারান্টি কে দিতে পারে। তাই বছরটাই ফ্লু ভ্যাকসিনের জন্য সবচেয়ে বেশি জরুরি। এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। করোনার জ্বর আর ইনফ্লুয়েঞ্জার জ্বরের মধ্যে খুব একটা তফাৎ নেই। শুরুতে কোভিড সংক্রমণকে ভাইরাল ফ্লু বলেও গুলিয়ে ফেলছিলেন ডাক্তাররা। পরে নিজের আসল রূপ দেখাতে থাকে করোনা। ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস রোগ বাঁধালেও তার ছাপ ছেড়ে যায়। অর্থাৎ রোগের লক্ষণ বোঝা যায়, কিন্তু করোনা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই চুপিচুপি রোগ ছড়ায়। শরীরে সংক্রমণ থাকলেও তার প্রকাশ নেই। হঠাৎ করেই একদিন প্রবল জ্বর, শ্বাসকষ্ট বা হার্ট অ্যাটাক। খাদ্যনালীতে সংক্রমণ বা কিডনি ফেলিওর। চিকিৎসার আগেই মৃত্যু হচ্ছে রোগীর। তাই বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনাকে রোখার টিকা এখনও আসেনি। কিন্তু ইফ্লুয়েঞ্জার মতো ভাইরাল ফ্লু-কে কাবু করার টিকা বাজারে আছে। যদিও এই টিকা করোনা থেকে কতটা সুরক্ষা দেবে সেটা বলা যাচ্ছে না, তবে প্রতিরোধের একটা উপায় যে গড়ে তুলবে সেটা নিশ্চিত। কোভিড সংক্রমণে যে রোগগুলো হচ্ছে তার থেকে কিছুটা হলেও রেহাই দিতে পারবে।