শেষ আপডেট: 14th November 2023 14:51
দ্য ওয়াল ব্যুরো: শীত আসছে। এই সময়টাতেই ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের বাড়বাড়ন্ত হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশের কয়েকটি রাজ্যে মারাত্মক ছোঁয়াচে ইনফ্লুয়েঞ্জারই এক উপপ্রজাতি (H3N2 Influenza A Virus) ছড়িয়ে পড়েছে। ডায়াবেটিস, হার্টের রোগ থাকলে ইনফ্লুয়েঞ্জা মারাত্মক আকার নিতে পারে। প্রাণ সংশয়ের কারণ হয়ে উঠতে পারে।
ডায়াবেটিস থাকলে ইনফ্লুয়েঞ্জা কতটা মারাত্মক হতে পারে?
ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস শরীরে স্ট্রেস কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়। সর্দি-কাশি, জ্বরের সঙ্গেই মাথাযন্ত্রণা, ঝিমুনি, বমিভাব থাকে। ডিহাইড্রেশন দেখা দেয়। এর মধ্যে ডায়াবেটিস থাকলে রক্তে শর্করার পরিমাণ বিগড়ে যায়। গ্লুকোজ লেবেল বাড়তে থাকে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঘন ঘন প্রস্রাব, ডিহাইড্রেশন রোগীকে আরও বেশি অসুস্থ করে তোলে।
ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস কর্টিসলের ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয়। এই কর্টিসল ইনসুলিনের প্রভাব কমিয়ে দেয়, গ্লুকোজের মাত্রা কমা-বাড়া করতে শুরু করে। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এতটাই কমে যায় যে ক্রনিক স্টেজে চলে যেতে পারে রোগী। দেখা গেছে, নন-ডায়াবেটিক রোগীদের থেকে ডায়াবেটিক রোগীদের ফ্লু হলে হাসপাতালে ভর্তির সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে যায়।
কীভাবে সতর্ক থাকবেন?
ডায়াবেটিসের (Diabetes) সঙ্গে ভাইরাল জ্বর হানা দিলে রোগীকে অনেক বেশি সতর্ক থাকতে হবে। এখন ছোট বাচ্চারাও ডায়াবেটিসের শিকার হচ্ছে, তাই বাবা-মায়েদের সাবধান থাকতে হবে। লাইফস্টাইল ম্যানেজমেন্ট সবচেয়ে আগে দরকার। ডায়াবেটিস হলেও সাধারণ ব্যালেন্সড ডায়েটই মেনে চলতে বলা হয়। সারাদিনে যে খাবার আমরা খাই তাই নিয়ম মেনে ও সময়ে সময়ে খাওয়া। সঠিক পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফ্যাট খেতে হবে। ভাজাভুজি, তেল জবজবে খাবার একেবারে চলবে না। এ সময়ে শরীরে জলের অভাব দেখা দেয়। বেশি পরিমাণে জল খেতে হবে। যাঁদের জল বেশি খাওয়া বারণ, তাঁদের মেপে খেতে হবে।