শেষ আপডেট: 6th September 2024 19:13
দ্য ওয়াল ব্যুরো, জলপাইগুড়ি: উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে 'থ্রেট কালচার' এর অভিযোগে বিক্ষোভের খবর আসতেই নড়েচড়ে বসলেন জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। এই মেডিক্যাল কলেজে যাতে কোনও ভাবে 'থ্রেট কালচার' এর অভিযোগ না ওঠে তার জন্য কলেজের সমস্ত বিভাগীয় প্রধান ও ফ্যাকাল্টি মেম্বারদের নিয়ে বৈঠকে বসলেন কলেজের প্রিন্সিপাল ও এমএসভিপি- সহ অন্যান্য স্বাস্থ্য কর্তারা।
গাইনি ডিপার্টমেন্টের বিভাগীয় প্রধান ডাক্তার সোহিনী ভট্টাচার্য বলেন, "আরজি কর কাণ্ড আমাদের চোখ খুলে দিয়েছে। আমাদের জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ নতুন। এখানে এখনও থ্রেট কালচারের কোনও অভিযোগ ওঠেনি। তাই এখানে আমরা প্রথম থেকেই শক্ত হাতে ধরতে চাই। আরজি কর হাসপাতালের মতো ঘটনা যাতে না ঘটে তার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ করার বিষয়ে আমরা প্রিন্সিপালের সাথে কথা বললাম।"
অধ্যক্ষ ডাক্তার প্রবীরকুমার দেব বলেন, "আমরা সচেষ্ট থাকব, যাতে জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজে কোনও ভাবেই থ্রেট কালচার না আসে। ছাত্ররা যাতে ভালো করে পড়াশোনা করে ভালো ডাক্তার হয়ে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে। আমরা কেউ থ্রেট বরদাস্ত করব না। আমরা নতুন ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে কাউন্সেলিং করব। যাতে তারা বিপদে পড়লে সোজা আমাদের কাছে আসে। পড়ুয়াদের অভিভাবকদের সাথেও কথা বলা হবে।"
তুমুল ছাত্র বিক্ষোভের জেরে বৃহস্পতিবার পদত্যাগ করেন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ডিন এবং সহকারী-ডিন। টিএমসিপির বিরুদ্ধে অনবরত হুমকি দেওয়া ও তোলাবাজির অভিযোগে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক-পড়ুয়াদের বিক্ষোভে বুধবার উত্তাল হয়ে উঠেছিল উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ।
আরজি কর কাণ্ডের পর থেকে গোটা রাজ্যের একাধিক মেডিক্যাল কলেজেই তৃণমূলের 'থ্রেট কালচার' এর বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হয়। আন্দোলনের ঢেউ পৌঁছে যায় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালেও। ডাক্তারির ছাত্রদের দাবি, হাসপাতালের নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি নিজেদের হাতে নিয়ে নেয় শাসকদল। কারও তোয়াক্কা না করে তাঁরাই দাদাগিরি চালাচ্ছিল। তাদের কথা শুনলে বাড়তি নম্বর দেওয়া হত পড়ুয়াদের। কথা না শুনলে প্রতি পদে সমস্যা সৃষ্টি করা হচ্ছিল। এমন আবহেই আগেভাগে সতর্ক হল জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ।