শেষ আপডেট: 13th August 2024 12:04
দ্য ওয়াল ব্যুরো: যোগগুরু বাবা রামদেব এবং পতঞ্জলি আয়ুর্বেদ লিমিটেডের মালিক বালকৃষ্ণর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা বন্ধ করল সুপ্রিম কোর্ট। মঙ্গলবার দেশের সর্বোচ্চ আদালতে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। রামদেব এবং পতঞ্জলির তরফে বালকৃষ্ণ নিঃশর্ত ক্ষমাভিক্ষা চাওয়ায় এবং মুচলেকা দেওয়ায় আদালত অবমাননার মামলায় ইতি টানল শীর্ষ আদালত। মুচলেকায় রামদেব এবং বালকৃষ্ণ জানিয়েছেন, তাঁরা ভবিষ্যতে পতঞ্জলির আয়ুর্বেদিক সামগ্রী বিক্রি করার জন্য বিজ্ঞাপনে বিভ্রান্তিকর দাবি জানাবেন না।
সর্বোচ্চ আদালতে রামদেব এবং পতঞ্জলি আয়ুর্বেদের এই স্বস্তি পাওয়ার কারণ হল, তাঁরা বারংবার হলফনামা জমা দিয়ে আদালতে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন। এমনকী দেশের সবকটি বড় সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিয়ে সাধারণ মানুষের কাছেও ক্ষমা চেয়ে নেন। তাই তাঁদের ক্ষমা গ্রহণ বিচারপতি হিমা কোহলি এবং সন্দীপ মেহতার বেঞ্চ একটি কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে ছেড়ে দিয়েছে। আদালত বলেছে, ভবিষ্যতে এই মুচলেকায় বর্ণিত কোনও শর্ত লঙ্ঘিত হলে অবমাননার মামলা ফের খোলা হবে।
প্রসঙ্গত, ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ) রামদেব ও বালকৃষ্ণের বিরুদ্ধে একটি আর্জি জানিয়েছিল। তাতে দাবি করা হয়েছিল, পতঞ্জলি আয়ুর্বেদ তাদের সামগ্রীকে অবৈজ্ঞানিকভাবে বিভ্রান্তিকর শব্দ দ্বারা প্রচার চালাচ্ছে। বিশেষত একটি ওষুধকে কোভিডকালে তার অব্যর্থ বলে ভুল প্রচার করে মানুষকে প্রভাবিত করেছিল। শুধু তাই নয়, আধুনিক চিকিৎসা সম্পর্কে রামদেব অ্যালোপেথিক ওষুধের কুফল ও আয়ুর্বেদিক সামগ্রীর আশ্চর্য ক্ষমতা বলে প্রচার করেন। তারপর রামদেব ও বালকৃষ্ণকে সশরীরে হাজিরার তলব করা হলেও তাঁরা হাজিরা দেননি। তারপরেই আদালত অবমাননার মামলা হয়।
এদিকে, আইএমএ রামদেবের একটি প্রেস কনফারেন্সের ভিডিও ক্লিপ আদালতে জমা দেয়। এছাড়া সংগঠনের তরফে পতঞ্জলির অসংখ্যা বিজ্ঞাপন তুলে ধরা হয়। যেখানে হাইপারটেনশন ও ডায়াবেটিস নিরাময়ে তাদের সামগ্রীর অব্যর্থ ক্ষমতার কথা দাবি করা হয়েছিল। তারপর আদালতের নির্দেশ অমান্য করার জন্য তাঁদের দুজনকে শোকজ করা হয় এবং নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। যার ভিত্তিতে দুদফায় হলফনামা দিয়ে তাঁরা ক্ষমা চাইলেও শীর্ষ আদালত তাতে খুশি হয়নি। গত ১০ এপ্রিল রামদেব ও বালকৃষ্ণকে তুমুল ভর্ৎসনা করে আদালত এবং ক্ষমা গ্রহণ করতে প্রত্যাখ্যান করে। একইদিনে আদালত উত্তরাখণ্ড সরকারকেও তুলোধনা করেছিল।