শেষ আপডেট: 19th June 2024 14:38
দ্য ওয়াল ব্যুরো, পূর্ব বর্ধমান: স্ত্রীর পরকীয়া সম্পর্কের কথা কানে এসেছিল। তারপরেই শাশুড়ি ও স্ত্রীকে কুপিয়ে নিজেকেও শেষ করে দিলেন এক ব্যক্তি। মৃত্যু হয়েছে শাশুড়িরও। পূর্ববর্ধমানের আউশগ্রামের ছোড়া গ্রামের আদিবাসীপাড়ায় বুধবার এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায়।
মঙ্গলবার গভীর রাতে শাশুড়িকে ও স্ত্রীকে ধারালো অস্ত্রের কোপ মারে সোম সোরেন নামে এক ব্যক্তি। তারপর সে পালিয়ে যায়। মৃত্যু হয় শাশুড়ি মুঙ্গলি মুর্মুর (৬৫)। সোমের স্ত্রীকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা বন নবগ্রাম ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করেন। পরে তাঁকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
বুধবার সকালে ওই গ্রাম থেকে বেশ কিছুটা দূরে মাঠের মধ্যে একটি গাছে অভিযুক্ত সোম সোরেনকে ঝুলতে দেখেন এলাকার মানুষ। পুলিশ এসে তাঁর দেহ ময়নাতদন্তে পাঠায়। পরিবার সূত্রে জানা যায় স্ত্রীর সঙ্গে এক ব্যক্তির পরকীয়া সম্পর্ক আছে এই সন্দেহ থেকে প্রায় পাঁচমাস ধরে অশান্তি করত সোম। এই নিয়ে একাধিকবার আদিবাসীপাড়ায় সালিশিসভাও বসে। কিন্তু কিছুতেই স্বামী স্ত্রীর সম্পর্কের উন্নতি হয়নি। তারপর থেকেই সোম আলাদা থাকতেন। স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল না।
মঙ্গলবার সোমের শ্বশুর বাড়িতে এক আত্মীয়ের বিয়ে ছিল। উৎসব শেষে মাকে নিয়ে ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন তাঁর স্ত্রী। সে সময় ধারাল অস্ত্র নিয়ে তাঁদের উপর চড়াও হয় সোম। শাশুড়ি ও স্ত্রীকে কোপাতে থাকে। টের পেয়ে ঘরের মহিলাদের দু তিনজন উঠে পড়ে চিৎকার শুরু করেন। পালিয়ে যায় সোম। রাতেই মা-মেয়েকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মুঙ্গলিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন ডাক্তাররা। জেলা পুলিশ সুপার আমন দীপ জানান,পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে। দুটি দেহই ময়নাতদন্তের জন্য বর্ধমান মেডিকেল কলেজের পুলিশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।