শেষ আপডেট: 12th February 2019 18:30
দ্য ওয়াল ব্যুরো: চারের বেশি সন্তান জন্মালেই মিলবে আয়করে ছাড়। তিনের বেশি হলেও বঞ্চিত নন মহিলারা। রয়েছে অন্যান্য সরকারি সুবিধাও। গোটা বিশ্ব যখন জন্মনিয়ন্ত্রণের তোড়জোড় করছে জোরকদমে, তখন সম্পূর্ণ উল্টো পথে হাঁটতে চলেছে হাঙ্গেরি। জন্মহার ক্রমাগত কমে যাওয়ায় চিন্তিত প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান জনসংখ্যা বৃদ্ধির এমনই অভিনব পন্থা নিয়েছেন। সরকারি সূত্রে খবর, এই ছাড় মিলবে কেবলমাত্র মহিলাদের জন্য। তবে অবশ্যই চার বা তার বেশি সন্তানের জন্ম দিতে হবে মহিলাদের। তাহলেই সারাজীবনের জন্য আয়কর মাফ। তবে চারের কম সন্তান হলেও মিলবে অন্যান্য ক্ষেত্রে ছাড়। যেমন গাড়ি কেনায় ছাড়, বাড়ি কেনায় সরকারি ভর্তুকি-সহ রয়েছে একগুচ্ছ প্রকল্প। সিরিয়ার মতো লড়াইয়ে বিধ্বস্ত দেশ থেকে ইউরোপে আসা শরণার্থীদের গ্রহণ করা নিয়ে মতভেদ রয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলির মধ্যে। সরাসরি এর বিরোধিতা করেছেন দক্ষিণপন্থী ভিক্টর অরবান। অভিবাসনে রাশ টানতেই দেশের জনসংখ্যা বাড়ানোর এই নয়া পন্থা বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘‘ইউরোপে জন্মহার কেন কমছে, তার একমাত্র উত্তর হল অভিবাসন। আমরা এটা চাই না।’’ শরণার্থী সমস্যা নিয়ে ইতিমধ্যেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কথায় অবশ্য উঠে এসেছে পশ্চিম এশিয়া থেকে আসা শরণার্থীদের কথাই। সেখানে জঙ্গি-দৌরাত্ম্যের প্রসঙ্গ টেনে ভিক্টর দাবি করেন, ‘‘খ্রিস্টান ইউরোপের অস্তিত্ব বিপন্ন!’’ তামাম ইউরোপবাসীর কাছে তাঁর প্রশ্ন, ‘‘আমাদের নাতি-নাতনিরা ইউরোপের সংযুক্ত খলিফায় (ধর্মীয় সাম্রাজ্য) বড় হোক, এমনটা কী আমরা চাই? আমার উত্তর, না।’’ হাঙ্গেরির জনসংখ্যা প্রতি বছর ৩২ হাজার করে কমছে। ভিক্টর বলেছেন, ‘‘আমাদের দেশের মহিলারা একের বেশি সন্তানে আগ্রহী নন। সেই জায়গাটা পূর্ণ করছে অভিভাসীরা। আমরা শুধু জনসংখ্যা বাড়াতে চাই না, অনেক বেশি হাঙ্গেরীয় শিশু চাই।’’