শেষ আপডেট: 2nd April 2024 14:11
দ্য ওয়ার ব্যুরো, উত্তর ২৪ পরগনা: দু'বছর আগেই নদীপাড়ে ক্ষয় শুরু হয়েছিল। সংস্কারের জন্য হেলদোল ছিল না কারও। শুধু তাই নয়, গ্রামের রাস্তার বেহাল অবস্থা ফেরাতেও কোনও উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি কাউকে। সামনে লোকসভা নির্বাচন। ভোট চাইতে রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা আসছেন গ্রামে। এবার আর প্রতিশ্রুতি দিয়ে কাজ হবে না, সেকথাই জানিয়ে দিলেন গ্রামবাসীরা। নদী বাঁধ ও রাস্তা সংস্কার না হলে ভোট দেবেন না বসিরহাটের সাহেবখালির মানুষ। মঙ্গলবার প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ দেখালেন তাঁরা।
বসিরহাটের হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের দুলদুলি গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত এলাকা পুরাতন সাহেবখালি। নদীপাড়ে অবস্থিত এই এলাকায় পাকা রাস্তার অভাব রয়েছে। কয়েক বছর ধরে নদীভাঙনও শুরু হয়েছে। ফলে জমি ভিটে হারানোর আতঙ্কে দিন কাটছে বাসিন্দাদের। ব্লক প্রশাসন এই বিষয়ে কোনও উদ্যোগ নেয়নি বলে অভিযোগ।
স্থানীয় বিক্ষোভকারীদের মূল দাবি, দুই কিলোমিটার রাস্তা দীর্ঘ দিন ধরে চলার অযোগ্য হয়ে রয়েছে। যে কোনও মুহূর্তে নদী গর্ভে চলে যেতে পারে। কালিন্দী নদীর উপরে থাকা বাঁধের ২০০ মিটার বসে গেছে। বিপদ ঘটতে পারে যে কোনও মুহূর্তে। প্লাবিত হতে পারে গ্রাম। তাই দ্রুত এই সমস্যার সমাধান চাইছেন তাঁরা।
গ্রামবাসীদের আশঙ্কা, গ্রাম প্লাবিত হলে শুধু তাঁদের ঘরবাড়ি নয়, চরম ক্ষতির মুখে পড়বেন কৃষিজীবীরা। সব্জি বা দানা শস্যই নয়, নদীর নোনা জল মাছের ভেরিতে ঢুকলে ক্ষতি হবে।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, বহুবার গ্রাম পঞ্চায়েত, ব্লক প্রশাসন ও বিধায়ককে পরিস্থিতির কথা জানানো হয়েছে। কিন্তু সমাধান খুঁজতে আগ্রহ দেখায়নি কেউই। ভোট আসে, ভোট যায় প্রতিশ্রুতিই দিয়ে যান সকলে। ভোট মিটে গেলে তাঁদের দিকে কেউ ফিরেও তাকান না। এবার তাই রাস্তা ও নদীর বাঁধ মেরামতির কাজ না করলে লোকসভা ভোট বয়কট করবেন এই এলাকার মানুষ। গ্রামবাসীদের এমন সিদ্ধান্তে দুলদুলি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তাপস মণ্ডলের দাবি, তাঁরা বিষয়টি জানেন। দ্রুত রাস্তা ও নদী বাঁধের কাজ শুরু করার উদ্যোগ নেবেন।