শেষ আপডেট: 30th May 2020 15:18
দ্য ওয়াল ব্যুরো, উত্তর ২৪ পরগনা: উমফানে ক্ষয়ক্ষতির হিসেব চলছে এখনও। বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ এখনও ফিরতে পারেননি গ্রামে। ঘরবাড়ি জলের নীচে। বিঘের পর বিঘে শস্যের খেতে জল। ত্রাণ শিবিরে দিন কাটছে তাঁদের। তারউপর ফের দুর্যোগের ভ্রুকুটি। তেসরা জুন ভরা কোটাল। আবার নদীর জল ফুলে ফেঁপে ভাসতে পারে গ্রাম। আতঙ্কে সিঁটিয়ে আছেন সুন্দরবনের মানুষ। তারউপর বসিরহাট মহকুমার সুন্দরবন লাগোয়া বিভিন্ন ব্লকে শনিবার দুপুর থেকে বইছে ঝোড়ো হাওয়া। কোনও কোনও জায়গায় শুরু হয়েছে বৃষ্টি। আমফানের ধ্বংসলীলার মধ্যেই নতুন করে ঝড় ও বৃষ্টি শুরু হওয়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন মানুষজন। এখনও বহু জায়গায় জলের তলায় গ্রাম। নদীবাঁধ ভেঙে যে জল ঢুকেছে বের হয়নি তা। নতুন করে ঝড়বৃষ্টিতে তাই বাড়ছে আতঙ্ক। https://www.youtube.com/watch?v=OAB8CeGUtPg উমফানের পর এখনও ঘরে ফিরতে পারেননি সন্দেশখালি এলাকার বহু গ্রামের মানুষ। বাঁধের উপর বা রাস্তায় ত্রিপল টানিয়ে কোনওরকমে বেঁচে আছেন তাঁরা। তাঁদের মধ্যে যেমন আছে শিশু, তেমন আছে বৃদ্ধরাও। অভিযোগ, দুর্যোগের পর এতদিন কাটলেও এখনও জুটছে না পর্যাপ্ত খাবার। এমনকি মিলছে না পানীয় জলও। চূড়ান্ত কষ্টের মধ্যে দিন কাটছে তাঁদের। এদিকে বসিরহাট মহকুমার সন্দেশখালি এক নম্বর ব্লকের নেতাজী পল্লি গ্রাম সহ বেশ কিছু গ্রামে শনিবার নতুন করে ইছামতি নদীর জল ঢুকেছে। প্রাণ বাঁচাতে বাঁধের উপর উঠে পড়েন কেউ। ত্রাণ শিবিরেও আশ্রয় নিয়েছেন বহু মানুষ। সব মিলিয়ে জল ঢোকায় নতুন করে সমস্যায় পড়েছেন বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ। তেসরা জুন ভরা কোটাল। আবার যদি নতুন করে গ্রামে জল ঢোকে তাহলে কী হবে? আতঙ্কের প্রহর গুনছেন সুন্দরবনের মানুষ।