শেষ আপডেট: 28th April 2024 15:02
দ্য ওয়াল ব্যুরো, উত্তর ২৪ পরগনা: শনিবার বসিরহাট মহকুমার হাসনাবাদে বিজেপি কর্মী দিলীপ দাসের বাড়িতে জোরালো বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনার আতঙ্ক কিছুতেই কাটিয়ে উঠতে পারছেন না বিজেপি কর্মীর স্ত্রী শ্যামলী দাস। দিলীপবাবুর বিরুদ্ধে বাড়িতে বিস্ফোরক মজুত রাখার অভিযোগ উঠেছে। তবে শ্যামলীদেবীর দাবি, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই তাঁদের ফাঁসানোর জন্য বাড়িতে বোমা লুকিয়ে রেখে গিয়েছে।
হাসনাবাদ ব্লকের দক্ষিণ শিমুলিয়া কালীবাড়ি এলাকায় ওই বিজেপি কর্মীর বাড়ি। শ্যামলী দাসের দাবি, সকাল ১০ নাগাদ রান্নাঘরে ছিলেন তিনি। ভোগ রান্নার তোড়জোর চলছিল। সেই সময় আচমকাই বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের তীব্রতায় রান্না ঘরে রাখা একটি বাক্স হুড়মুড়িয়ে পড়ে যায়। তিনি তখনই দৌড়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়ে সামনের পুকুরে ঝাঁপ দেন। তারপরে প্রতিবেশীরা তাঁকে পুকুর থেকে উদ্ধার করে ঘাটে বসাতেই তিনি অচৈতন্য হয়ে পড়েন।
শ্যামলী দেবী জানিয়েছেন, এখনও তাঁর কানে তালা লেগে রয়েছে। এক কানে শুনতে পাচ্ছেন না। মাথা ধরে রয়েছে। পিঠে ও হাতে আঘাত রয়েছে। সারারাত দুচোখের পাতা এক করতে পারেননি। ঘুমনোর চেষ্টা করলেই বিস্ফোরণের ওই বিকট শব্দ কানে বেজে উঠেছে। তাতেই শিউরে উঠছেন তিনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, যে বিজেপি নেতা নিমাই দাসকে গ্রেফতার করা হয়েছে তিনি আগে তৃণমূলে ছিলেন। পরে তিনি বিজেপিতে যোগ দেন। নিমাই দাস ও দিলীপ দাস সম্পর্কে দাদা-ভাই। কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তা খুঁজে বের করতে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। দিলীপবাবুর অনুমান, এলাকায় কয়েকজন তৃণমূল দুষ্কৃতী রয়েছে তাঁরা টাকা পয়সার বিনিময়ে এই ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে ।
স্থানীয় তৃণমূল নেতারা এই ঘটনার সিআইডি তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। নিরপেক্ষ তদন্ত না হলে এই ঘটনা নিয়ে আদালতে যাবেন বলে হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, ওই বিজেপি নেতা বাড়িতে বোমা মজুত করেছিলেন। তাই এমন বিপত্তি ঘটেছে।
বসিরহাট বিজেপির সাংগঠনিক জেলা সাধারণ সম্পাদক তুলসী দাসের দাবি, "২০১৮ সালে একইভাবে এখানে বোমা বিস্ফোরণ হয়েছিল তারপর ২০২৪ সালেও ঘটল। বারবার আমরা আক্রান্ত হচ্ছি। সন্দেশখালির মতোই হিঙ্গলগঞ্জ পঞ্চায়েতে এনএসজির অভিযানের প্রয়োজন রয়েছে।"
রবিবারও ওই বিজেপি কর্মীর বাড়িতে গিয়েছিলেন বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র। এই ঘটনাকে তিনি তৃণমূলের চক্রান্ত বলেই দাবি করেছেন।