শেষ আপডেট: 6th May 2024 10:35
দ্য ওয়াল ব্যুরো: এক ছটাক বৃষ্টির জন্য মহানগরী যখন হাপিত্যেশ করছে, তখন মেঘালয় ও মণিপুরে প্রবল ঝড়বৃষ্টিতে জনজীবন বিপর্যস্ত। আবহাওয়া অফিস সোমবার বঙ্গে কালবৈশাখীর পূর্বাভাস দেওয়ার আগেই উত্তর-পূর্বের মেঘালয় ও মণিপুর এই দুই পার্বত্য রাজ্যে তুলকালাম ঝড়বৃষ্টির তাণ্ডবে বিশাল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
মেঘালয়ের খাসি জয়ন্তিয়া পার্বত্য এলাকায় রবিবার সন্ধ্যার পর থেকে বিরাট ঝড়ের তাণ্ডব শুরু হয়। তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বৃষ্টির ঝাপটা। বহু ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রায় ৪০০ মানুষ গৃহহীন ঝড়ের দাপটে। রাজ্যের আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী দুদিন প্রবল বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে।
রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের আধিকারিক জানিয়েছেন, খাসি জয়ন্তিয়া পার্বত্য এলাকার ৪২৭ জন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। প্রায় ১৩ গ্রামের অসংখ্য ঘর আংশিক কিংবা পুরো ভেঙে পড়েছে।
Due to strong winds and heavy rains in some parts of the State many houses have been damaged. Have asked administration to immediately provide relief.
— Conrad K Sangma (@SangmaConrad) May 5, 2024
মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড কে সাংমা বলেন, জেলা প্রশাসন যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ত্রাণ ও উদ্ধারকার্য চালাচ্ছে। এক্সবার্তায় তিনি লিখেছেন, প্রবল গতিতি বাতাস বয়ে চলায় এবং তার সঙ্গে দোসর ভারী বৃষ্টিতে রাজ্যের একাংশে যথেষ্ট ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অনেক বাড়ি ভেঙে পড়েছে। জেলা প্রশাসন কাজে নেমে পড়েছে।
অন্যদিকে ইম্ফল থেকে পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, সোমবার ব্যাপক বৃষ্টি হয়েছে মণিপুরেও। বৃষ্টির কারণে আজ, ৬ মে এবং কাল, ৭ মে সমস্ত স্কুল ছুটি দিয়েছে রাজ্য সরকার।
All schools and colleges will remain closed on 6th May and 7th May, 2024 due to the prevailing weather conditions in the state.
— N.Biren Singh (Modi Ka Parivar) (@NBirenSingh) May 5, 2024
The decision has been taken as a precautionary measure against the risks posed by the current weather conditions. I urge all to stay updated and…
মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং রাত গভীর রাতে এক এক্সবার্তায় স্কুল ছুটির কথা ঘোষণা করেন। তিনি লিখেছেন, সোম ও মঙ্গলবার অতি বৃষ্টির কারণে রাজ্যের সমস্ত স্কুল-কলেজ ছুটি থাকবে। আবহাওয়ার দুর্যোগের কারণে ঝুঁকি এড়াতে সরকার এই সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী বৃষ্টির কারণে মানুষকে অপ্রয়োজনে বাড়ি থেকে বেরোতে নিষেধ করেছেন। জানমালের রক্ষায় রাজ্য সরকার সমস্ত রকমের ব্যবস্থা নিচ্ছে বলে তিনি জানান। ইতিমধ্যেই যাঁরা বেঘর হয়েছেন, তাঁদের কাছে ত্রাণসাহায্য পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।