শেষ আপডেট: 27th July 2024 17:40
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কিছুদিন আগের কথা। এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ারকে দুর্নীতির ইস্যুতে চরম খোঁচা দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তাঁকে কার্যত 'দুর্নীতির কিংপিন' বলেছিলেন। এবার তাঁকে পাল্টা আক্রমণ করে গুজরাত থেকে 'বহিষ্কার' হওয়ার প্রসঙ্গ টানলেন পাওয়ার। একই সঙ্গে প্রশ্ন তুললেন, এমন একজন ব্যক্তি এখন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের দফতর সামলায় কীভাবে?
মহারাষ্ট্রের পুনের এক দলীয় বৈঠক থেকে বিরোধী নেতাদের আক্রমণ করেছিলেন অমিত শাহ। তাঁর নিশানায় উদ্ধব ঠাকরে থেকে শুরু করে রাহুল গান্ধীরা তো ছিলেনই, প্রবীণ রাজনীতিবিদ শরদ পাওয়ারও বাদ যাননি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য ছিল, পাওয়ার দেশের সকল দুর্নীতিবাজ রাজনীতিকদের নেতা! একই সঙ্গে বিরোধী রাজনৈতিক শিবিরকে 'ঔরঙ্গজেব ফ্যান ক্লাব' বলেও কটাক্ষ করেছিলেন তিনি। এবার তারই পাল্টা দিয়েছেন শরদ পাওয়ার।
বর্ষীয়ান এনসিপি নেতার কথায়, ''একসময়ে যে ব্যক্তিকে আইনের অপব্যবহার করার অভিযোগে সুপ্রিম কোর্ট গুজরাত থেকে নির্বাসন করে দিয়েছিল, সেই ব্যক্তিই আজ দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন, ভাবতেও অবাক লাগে। যাঁকে নির্বাসিত করা হয়েছিল, তিনিই আজ দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। আমাদের ভাবা উচিত যে আমরা তথা দেশ কোন দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।'' শরদ পাওয়ারের আশঙ্কা, এইভাবে চলতে থাকলে দেশের ভবিষ্যৎ অন্ধকার।
অমিত শাহের বক্তব্য ছিলেন, দেশের যে কোনও সরকারের আমলে যে কোনও রাজনীতিবিদদের মধ্যে যদি কেউ দুর্নীতির শিখরে থাকেন তাহলে তিনি শরদ পাওয়ার। এই বিষয়ে তাঁর কোনও সন্দেহ নেই। খোঁচা দিয়ে শাহ এও বলেন, দুর্নীতি যাঁদের ঘিরে রয়েছে, তাঁরাই পাল্টা কেন্দ্রীয় সরকারকে দুর্নীতি নিয়ে জ্ঞান দেয়। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই বক্তব্যেরই পাল্টা দিয়ে তাঁকে 'নির্বাসন' ইস্যুটি মনে করিয়ে দিলেন শরদ পাওয়ার।
প্রসঙ্গত, ২০১০ সালে সোহরাবুদ্দিন শেখ ভুয়ো এনকাউন্টার মামলায় তৎকালীন বিজেপি সাংসদ অমিত শাহকে নিজের রাজ্য থেকেই দু'বছরের জন্য বহিষ্কার করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। ২০১৪ সালে অবশ্য শাহ বেকসুর খালাস পান।