শেষ আপডেট: 20th October 2023 15:45
দ্য ওয়াল ব্যুরো, পূর্ব বর্ধমান: তখন মোঘল শাসন চলছে। দিল্লির তখতে ঔরঙ্গজেব। সেই সময় সূচনা হয় বর্ধমানের বর্ধিষ্ণু গ্রাম রায়ানের। ওই সময় থেকে চৌধুরীরা এসে এখানে দুর্গাপুজোর সূচনা করেন।
এই পরিবারের সদস্য বিশ্বেশ্বর চৌধুরী জানিয়েছেন, বৈদিক মতে দেবীর পুজো করে আসছেন তাঁরা। মেনে চলা হয় গুপ্তপ্রেস পঞ্জিকার নির্ঘন্ট। এই পুজোর জন্য পুরোহিত, ঢাকি, নাপিত, কিংবা ফুলের জোগানদারদের আলাদা করে ডাকতে হয় না। তাদের জমি দান করা আছে। বছরের পর বছর ধরে বংশপরম্পরায় নিজেরাই সেই দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। অগ্রদানী দিয়ে যান গামছা।
বিশ্বেশ্বরবাবু আরও জানিয়েছেন, রথের দিন কাঠামো পুজো হয়। এরপরেই শুরু হয় প্রতিমা তৈরির কাজ। মহালয়ায় চক্ষুদানের পর প্রতিমার গায়ে পড়ে রঙের প্রলেপ। পুজোয় যাতে ব্যাঘাত না হয় সে ব্যবস্থাও করে গিয়েছেন চৌধুরীদের পূর্ব পুরুষেরা। পরিবারের স্থাবর সম্পত্তির মধ্যে একটি পুকুর রয়েছে। সেই পুকুরের মাছ বিক্রির টাকা দিয়ে পুজোর খরচ উঠে যায়।
বলি প্রথা থাকলেও ষাট বছর আগেই তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। নবমীতে বিশেষ ভোগের আয়োজন হয়। বর্তমানে এই পরিবারে আশিজন সদস্য রয়েছেন। পুজোর কদিন সবাই এখানে আসেন। পুজোর সময় লোকজনে গমগম করে গোটা বাড়ি।