রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ও কুণাল ঘোষ।
শেষ আপডেট: 16th July 2024 22:17
দ্য ওয়াল ব্যুরো: রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে ওঠা শ্লীলতাহানির অভিযোগের মামলায় নির্যাতিতা যেন সুবিচার থেকে বঞ্চিত না হন, মঙ্গলবার সন্ধেই এক সাংবাদিক বৈঠক থেকে সেই বার্তা দিলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ।
রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস সম্পর্কে মর্যাদাহানিকর কোনও মন্তব্য না করার জন্য, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ তৃণমূলের চারজনকে এদিনই নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি কৃষ্ণা রায়ের সিঙ্গল বেঞ্চ। মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও বাকিরা হলেন তৃণমূলের দুই বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, রায়াত হোসেন সরকার এবং তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ।
ওই প্রসঙ্গেই এদিন কুণাল বলেন, "কলকাতা হাইকোর্টকে যথাযথ সম্মান জানিয়েই বলছি, রাজভবনের মহিলা কর্মী রাজ্যপালের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতেই মুখ্যমন্ত্রী মন্তব্য করেছেন। একই সঙ্গে আদালতের উদ্দেশে আমার আর্জি থাকবে, গুরুতর অভিযোগ উঠেছে রাজ্যপালের মতো প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে। তাই নির্যাতিতা যেন বিচার থেকে বঞ্চিত না হন।"
উচ্চ আদালতের পর্যবেক্ষণ, মামলাকারী দাবি করেছে যে কিছু মন্তব্যে তাঁর মর্যাদা ক্ষুন্ন হয়েছে। তাই এই রকম মন্তব্য থেকে বিরত থাকা উচিত। যদিও আদালত সূত্রের খবর, মূল মামলার বিচার এখনও শুরু হয়নি। ১৪ অগস্ট পরবর্তী শুনানি হবে।
প্রসঙ্গত, দুই বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রেয়াত হোসেন সরকারের শপথগ্রহণের ইস্যুতে দীর্ঘ টানাপোড়ন চলেছিল। রাজ্যপালকে সরাসরি আক্রমণ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শ্লীলতাহানির যে অভিযোগ রাজ্যপালের বিরুদ্ধে উঠেছিল সেই প্রসঙ্গ টেনে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য ছিল, মহিলারা রাজভবনে যেতে ভয় পান। মমতার সেই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে হাইকোর্টে মামলা করেন সিভি আনন্দ বোস।