মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গোপীবল্লভপুরের সভায়।
শেষ আপডেট: 17 May 2024 15:59
দ্য় ওয়াল ব্য়ুরো: ৩১ মার্চ উত্তরবঙ্গ থেকে সফর শুরু করেছিলেন। ১৭ মে। টানা ৪৮ দিন। উত্তর থেকে দক্ষিণ, রোদ-জলের মাঝে এলাকার পর এলাকায় প্রচারে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
পায়ের চপ্পল আর সেই ধকল নিতে পারল না! শুক্রবার ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুরে দলীয় প্রার্থী কালীপদ সোরেনের নির্বাচনী সভায় বক্তৃতা করছিলেন মমতা। বক্তৃতার শেষ লগ্নে আচমকা মুখ্যমন্ত্রীর চপ্পলের ফিতে ছিঁড়ে যায়।
স্বগোক্তির সুরে মমতাকে বলতে শোনা যায়, "যাহ! ছিঁড়ে গেল!"
সেকেন্ড কয়েকের নীরবতা ভেঙে মুখ্যমন্ত্রী জানান, তাঁর চপ্পলের ফিতে ছিঁড়ে গেছে। সঙ্গে সঙ্গে মঞ্চে একজন অন্য একটি জুতো বাড়িয়ে দেন। দেহরক্ষী নতুন চপ্পল আনার জন্য তোড়জোড় শুরু করেন। সকলকে থামিয়ে দিয়ে নির্লিপ্ত কণ্ঠে মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে শোনা যায়, "চপ্পলের আর কী দোষ! যা আয়ু তার থেকে বেশি হেঁটে ফেলেছে!"
মুখ্যমন্ত্রীর চপ্পল ছিঁড়ে যাওয়া নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায় মঞ্চে। যদিও পরক্ষণেই সকলকে থামিয়ে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী তাঁর সফর সঙ্গী রাজ্যের মন্ত্রী ইন্দ্রনীলকে গানের জন্য তৈরি হওয়ার নির্দেশ দিয়ে বলেন, "ইন্দ্রনীল তুমি সেট তৈরি করো। আমি বরং চপ্পলে সেফটিপিন লাগাই!"
পায়ের চপ্পল যে কারও কাছে গুরুত্বপূর্ণ। তার ফিতে ছিঁড়ে গেলে যে কারও হাঁটাচলা করা সমস্যার। তবে মমতা যেভাবে সেফটিপিন লাগিয়ে পরের সভার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন, তাতে সভাস্থলে অনেককেই বলতে শোনা যায়, 'এই জন্যই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবার থেকে আলাদা। সাধারণ হয়েও অসাধারণ।'