শেষ আপডেট: 15th June 2024 10:49
দ্য ওয়াল ব্যুরো: নিট ২০২৪ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে। বিহারের ইকনমিক অফেন্সেস ইউনিট বা আর্থিক দুর্নীতি দমন বিভাগ প্রশ্নফাঁসের তদন্তে নেমে এরকম বেশকিছু ইঙ্গিত পেয়েছে। অন্যদিকে, নিট পরীক্ষায় যে দুর্নীতি হয়েছে, তা আগেই জানত গুজরাত পুলিশ। মাসখানেকের ভিতরই এ ব্যাপারে জড়িত থাকার অভিযোগে ৫ জনকে গ্রেফতার করাও হয়েছে। গুজরাতের পঞ্চমহলের পুলিশ সুপার হিমাংশু সোলাঙ্কি ডেকান হেরাল্ডকে জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের কাছ থেকে ২.৩ কোটি টাকার চেক উদ্ধার করা হয়েছে।
বিহারের তদন্তকারী বিভাগ জানিয়েছে, একটি স্কুলে যেখানে নিট পরীক্ষার কেন্দ্র পড়েছিল, সেখান থেকে প্রশ্নপত্রের আধপোড়া টুকরোও মিলেছে। বিহার পুলিশের অতিরিক্ত মহানির্দেশক এনএইচ খান ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেছেন, তদন্তে প্রশ্নফাঁসের বেশকিছু নমুনা ও ইঙ্গিত মিলেছে। তাঁর কথায়, প্রশ্নফাঁসের বিষয়ে আমরা প্রায় নিশ্চিত।
পুলিশ কর্তা আরও জানান, রাজ্যের আর্থিক দুর্নীতি দমন বিভাগের বিশেষ তদন্তকারী দল অনেকগুলি অ্যাডমিট কার্ড, পোস্ট ডেটেড চেক এবং সার্টিফিকেট বাজেয়াপ্ত করেছে। যা দেখে আমাদের অনুমান, এর পিছনে আন্তঃরাজ্য সংগঠিত একটি গ্যাং রয়েছে। সিট আপাতত প্রশ্নফাঁসের বিষয়ে উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ তল্লাশ করছে।
বিহার পুলিশ সূত্র জানাচ্ছে, রামকৃষ্ণনগর থানা এলাকায় একটি স্কুলে ভুয়ো পরীক্ষাকেন্দ্র খোলা হয়েছিল। সেখানে নিটের প্রশ্নপত্র এবং উত্তর বিলি করা হয়। এই চক্রে ৩৫ জন পরীক্ষার্থী সহ একটি সংগঠিত গ্যাংয়ের গন্ধ পেয়েছেন তদন্তকারীরা। এ ব্যাপারে জড়িত থাকার সন্দেহে গয়া থেকে নীতীশ কুমারকে আটক করেছে পুলিশ। এর আগে বিহারে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে এই লোকটিকেই ধরেছিল পুলিশ।
গুজরাত পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিরা একেকটি পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে ১০ লক্ষ টাকা করে নিয়েছে। তাদের টাকা নেওয়ার উদ্দেশ্য ছিল পরীক্ষার্থীরা নির্দিষ্ট একটি কেন্দ্র বাছাই করবে এবং খালি ওএমআর শিট জমা দিয়ে চলে যাবে। পরে অন্য এক অভিযুক্ত, যিনি পরীক্ষাকেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক, তিনি ওই খালি ওএমআর শিটগুলি সঠিক উত্তরসহ পূরণ করে দেবেন।
গোধরা জেলা শিক্ষা আধিকারিকের অভিযোগে একটি এফআইআর করা হয়েছে। জেলাশাসক আগেভাগেই একটি সূত্রে এই দুর্নীতি হতে চলেছে খবর পেয়েছিলেন। তাই পুলিশ খুব কাছ থেকে জয় জালারাম স্কুলের উপর নজর রেখেছিল। সন্দেহের তালিকায় রয়েছেন স্কুলের পদার্থবিদ্যার শিক্ষক, যিনি নিট-ইউজি পরীক্ষাকেন্দ্রের ডেপুটি সুপারিন্টেন্ডেন্ট, স্কুলের প্রিন্সিপাল, একটি শিক্ষামূলক পরামর্শদাতা সংস্থার মালিক, একজন দালাল এবং ভদোদরার এক বাসিন্দা।
পরীক্ষার পরপরই একজনের গাড়ি থেকে ৭ লক্ষ টাকা নগদ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি ব্যাখ্যা দিতে না পারায় টানা জিজ্ঞাসাবাদে তাঁর কাছ থেকে বেশকিছু রোল নম্বর এবং নিট পরীক্ষার্থীর নাম ও ছবি উদ্ধার হয়। তাঁকে হেফাজতে নিয়ে বাকিদের গ্রেফতার করা হয়।