শেষ আপডেট: 28th May 2024 17:27
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বাংলা থেকে এবার বিজেপি ব্যাপক সংখ্যক আসনে জয়ী হবে বলে ফের দাবি করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই সূত্রে যাদবপুরের বাম কর্মী সমর্থকদের উদ্দেশে ছুড়ে দিলেন প্রশ্নও।
মঙ্গলবার যাদবপুরের বিজেপি প্রার্থী অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়ের সমর্থনে বারুইপুরের নির্বাচনী সভা থেকে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, "সিপিএমকে ভোট দিয়ে কি তৃণমূলের হাত শক্ত করতে চান?"
জবাবও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নিজেই, "সিপিএম এখানে ভোটে লড়ছে তৃণমূলকে মদত দিতে।" নিজের দাবির সপক্ষে মোদী বলেন, "সিপিএমকে ভোট দিলে কী হবে? সেই তো দিল্লিতে গিয়ে দিদির হাত ধরবে। ওদের তো একটাই দোকান, ইন্ডিয়া অ্যালায়েন্স ! তা হলে কেন নিজেদের ভোটটা নষ্ট করবেন। ৬ দফার ভোটে তো স্পষ্ট হয়েই গেছে, আমরাই ক্ষমতায় ফিরছি।"
গত ১০ বছরে তাঁর আমলে দেশের উন্নয়নের পরিসংখ্যান তুলে ধরে মোদী বলেন, প্রতিদিন ২ টো করে কলেজ খুলেছে, প্রতি সপ্তাহে ১টা করে বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছে। অন্যদিকে বাংলায় কী হয়েছে? প্রথমে কংগ্রেস, পরে সিপিএম আর এখন তৃণমূল বাংলাকে বরবাদ করে ছেড়েছে।
বিধানসভায় শূন্য হলেও যাদবপুরে সিপিএমের ভোট ব্যাঙ্ক এখনও ইর্ষণীয়। সেকারণেই এদিনের মঞ্চ থেকে মোদী সিপিএম সমর্থকদের উদ্দেশে বাড়তি বার্তা সামনে এনেছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
বস্তুত, ২০০৯ এবং ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটে যাদবপুর লোকসভা আসনে দ্বিতীয় স্থানে ছিল সিপিএম। ২০১৯ সালের অবশ্য বামেদের ভোট ব্যাঙ্কে ধস নামে । ওই ভোটে বামেদের ১৫.০৫ শতাংশ ভোট কমেছিল এবং বিজেপির ১৫.১৪ শতাংশ ভোট বেড়েছিল। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে তৃণমূলের প্রাপ্ত ভোটের হার ছিল ৪৭.৯১ শতাংশ। বিজেপি ও সিপিএমের প্রাপ্ত ভোটের হার ছিল যথাক্রমে ২৭.৩৬ শতাংশ এবং ২১.০৪ শতাংশ।
গতবারের মতো এবারও বামেদের ভোট রামে এলে যাদবপুরে অসাধ্যসাধন সম্ভব হতে পারে বিজেপির। তবে এবারে পরিস্থিতি ভিন্ন। সেকারণেইএদিনের মঞ্চ থেকে মোদী নির্দিষ্ট করে বাম কর্মী, সমর্থকদের ভোট দিতে যাওয়ার আগে আরও একবার 'ভেবে দেখবার' পরামর্শ দিয়েছেন বলেই মনে করা হচ্ছে।