দ্য ওয়াল ব্যুরো: বাঙালি শ্রেষ্ঠ উৎসব শেষ হয়েছে সবেমাত্র। তবে রাত পোহালেই আর এক উৎসব। আগামীকাল শুক্রবার রেড রোডে আয়োজিত হতে চলেছে দুর্গা পুজো কার্নিভাল। ১০০টি পুজোর অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে এবারের কানিভালে। পায়ের চোটের কারণে ১ মাসেরও বেশি সময় গৃহবন্দি থাকার পর শুক্রবার কার্নিভাল উপলক্ষেই প্রকাশ্যে আসতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর চোটের কথা মাথায় রেখেই বিশেষ আসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সব মিলিয়ে শুক্রবারের প্রস্তুতি তুঙ্গে! আর তার জন্য বৃহস্পতিবার রাত থেকেই রেড রোডে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হল।
২০১৬ সালে শহর ও শহরতলির সেরা পুজোগুলিকে নিয়ে দুর্গাপুজো কার্নিভালের সূচনা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজয়া দশমীর পর একটি বিশেষ দিন ঠিক করা হয় কার্নিভালের জন্য। এদিন শোভাযাত্রা সহকারে রেড রোড দিয়ে নিরঞ্জনের জন্য নিয়ে যাওয়া হয় প্রতিমাগুলি। করোনা অতিমহামারীর কারণে ২০২০ এবং ২০২১ সালে বন্ধ ছিল কার্নিভাল। তবে গত বছর থেকে তা ফের চালু করা হয়েছে। এবারের কার্নিভালে ১০০টি পুজো কমিটি অংশ নিতে চলেছে বলে জানা গেছে। ১৮ হাজার দর্শকের বসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার জেলাগুলিতে দুর্গাপুজো কার্নিভালের আয়োজন করা হয়েছিল। কলকাতার পুজোগুলির ক্ষেত্রে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা সহকারে প্রতিভা নিরঞ্জন করা হবে শুক্রবার। তার জন্য বৃহস্পতিবার বিকেল থেকেই রেড রোডে কার্নিভালের প্রস্তুতি তুঙ্গে। রাত ৯টা থেকে ওই রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে কলকাতার ট্রাফিক পুলিশ।
শুক্রবার বিকেল ৪টে থেকে শুরু হবে শোভাযাত্রা। উপস্থিত থাকবেন দেশ-বিদেশের বিশিষ্ট অতিথিরা। স্পেন সফর সেরে ফেরার পর এই প্রথমবার প্রকাশ্যে আসবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিনের অনুষ্ঠানে তাঁর যাতে অসুবিধা না হয় তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর বসার জন্য যে স্টেজ বানানো হয়েছে তার পাশেই সিঁড়ির বদলে হুইলচেয়ার চলার জন্য ঢালাই প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা হয়েছে। আরও একটি স্টেজ তৈরি করা হয়েছে, যেখানে বসবেন আমন্ত্রিত বিশেষ অতিথিরা।
গতবছর ইউনেস্কো বাংলা দুর্গাপুজোকে হেরিটেজ তকমা দিয়েছিল। তারপর থেকেই পুজোর জৌলুস যেন আরও বেড়েছে। এবারে তাই বিপুল সংখ্যক দর্শক অনুষ্ঠান দেখতে আসবেন বলে অনুমান করা হচ্ছে। কার্নিভাল শেষ হতে যেহেতু রাত হয়ে যাবে, তাই মানুষের বাড়ি ফেরার জন্য আগাম অতিরিক্ত বাস ট্রেন এবং মেট্রো চালানোর কথা ঘোষণা করেছে রাজ্য পরিবহন দফতর। এস্প্ল্যানেড এবং হাওড়া থেকে কলকাতা এবং শহরতলির একাধিক রুটে চলবে অতিরিক্ত সরকারি এবং বেসরকারি বাস। দক্ষিণেশ্বর থেকে কবি সুভাষ রোডে অতিরিক্ত মেট্রো চালানো হবে মধ্যরাত পর্যন্ত। শিয়ালদহ এবং হাওড়া ডিভিশন থেকেও যাতে শেষ ট্রেনের সময়সীমা বাড়ানো হয় তার জন্য রেলের সঙ্গে কথা বলেছে রাজ্য।