শেষ আপডেট: 17th July 2024 11:57
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ২৪ ঘণ্টার বেশি কেটে গেলেও জম্মুর ডোডায় ঘাতক-জঙ্গিদের কাবু করতে ব্যর্থ বাহিনী। বুধবার সকালেও প্রায় চার ঘণ্টা ধরে গুলিবৃষ্টি চললেও পাকিস্তানি জয়েশ-ই-মহম্মদের ছায়া সংগঠন কাশ্মীর টাইগার্সের একজন জঙ্গিকেও ধরতে বা নিকেশ করতে পারেনি ভারতীয় সেনা। এদিকে, জম্মু-কাশ্মীরে বেশ কিছুদিন যাবৎ জঙ্গি হামলা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলি কাঠগড়ায় তুলেছে পুলিশের মহানির্দেশক রশ্মিরঞ্জন সোয়াইনকে।
ওড়িশা ক্যাডারের আইপিএস সোয়াইন জম্মু-কাশ্মীরের গোয়েন্দা বিভাগেরও প্রধান। অতি সম্প্রতি তিনি বলেন, উপত্যকার মূল স্রোতের রাজনৈতিক দলগুলি এবং আঞ্চলিক দলগুলি কাশ্মীরে অনুপ্রবেশে পাকিস্তানকে সুবিধা করে দেয়। এটা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে নতুন কিছু নয় বা বিতর্কিত বিষয়ও নয়।
সোয়াইনের এই মন্তব্যের পরেই ভূস্বর্গের রাজনৈতিক ক্ষোভের আঁচ লাগে। ডোডায় সেনা মৃত্যুর পর পিডিপি নেত্রী মেহবুবা মুফতি এই 'রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব' পুলিশ প্রধানকে বরখাস্তের দাবি তোলেন। তিনি সোয়াইনকে রাজনৈতিক দালাল বলেও গাল পাড়েন। একের পর এক জঙ্গি হামলার ঘটনায় তাঁকে দায়ী করে মেহবুবা বলেন, অবিলম্বে পুলিশের মাথা ছাঁটা প্রয়োজন। এই মুহূর্তে সরকার বরখাস্ত করুক ডিজিপিকে।
এই পরিস্থিতির মধ্যে ঘাতক জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। ডোডা জেলার জঙ্গল এলাকায় দুদফায় ঘণ্টা চারেক গুলি বিনিময় চলেছে জঙ্গি ও বাহিনীর মধ্যে। যদিও এই সংঘর্ষে কেউ হতাহত হয়নি। সেনাবাহিনীকে সাহায্য করতে হেলিকপ্টার নামানো হয়েছে। প্যারা কমান্ডোও নামানো হয়েছে দুর্ভেদ্য, অগম্য জঙ্গল এলাকায়।
এর মধ্যে আজ, বুধবার মহরম উপলক্ষে ব্যাপক নিরাপত্তায় মোড়া হয়েছে শ্রীনগরসহ গোটা কাশ্মীরকে। বেশ কিছুজনের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই পুলিশ ইউএপিএ ধারায় মামলা দায়ের করেছে। আটক করে রাখা হয়েছে আরও বহু মানুষকে। শ্রীনগরে মহরমের মিছিলে প্যালেস্তাইনপন্থী ও ইজরায়েল-বিরোধী স্লোগান দেওয়ার অভিযোগে পুলিশ তাদের পাকড়াও করে।