গণ ইস্তফা আরজি করের চিকিৎসকদের।
শেষ আপডেট: 8th October 2024 13:46
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে ধর্মতলায় অনশন করছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এবার তাঁদের সমর্থনে গণ ইস্তফা দিচ্ছেন আরজি করের সিনিয়ররা!
প্রায় দু'মাস হয়ে গেল আরজি করে তরুণী চিকিৎসকের নৃশংস ধর্ষণ ও খুনের। প্রতিবাদ ও বিক্ষোভের আঁচ সেই যে জ্বলে উঠেছে, তা এতদিনে স্তিমিত হওয়ার বদলে বরং বারবার তীব্রতর হয়ে উঠেছে। ডাক্তারদের আন্দোলনের গতিও বাড়ছে ধাপে ধাপে। মিছিল, বৈঠক, অবস্থান-- এসবের পরে শুরু হয়েছে আমরণ অনশন।
প্রাথমিক ভাবে ৬ জন জুনিয়র চিকিৎসক শুরু করলেও, আরজি কর থেকে একের পর এক চিকিৎসক সেই অনশনে সামিল হচ্ছেন। পাশাপাশি চলছে সিনিয়র চিকিৎসকদের ১২ ঘণ্টার প্রতীকী অনশনও।
এরই মধ্যে ঘটে গেল এক বড় ঘটনা। আরজি কর হাসপাতাল থেকে একের পর এক ইস্তফা দিলেন সিনিয়র চিকিৎসকরা। জানা গেছে, বিভিন্ন বিভাগীয় প্রধানের পদ থেকেও ইস্তফা পত্র পড়ছে একের পর এক। পুজোর ঠিক মুখে এই ঘটনায় রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় বড় প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
ঠিক কীসের দাবিতে এত দিন পরেও চলছে ডাক্তারদের এই আন্দোলন? কেনই বা প্রশাসন বারবার আশ্বাস দেওয়া সত্ত্বেও এমনকি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও স্বাভাবিক হচ্ছে না কাজের গতি?
জানা যাচ্ছে, আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে ১০ দফা দাবিতে আন্দোলন চলছে জুনিয়র ডাক্তারদের। দ্বিতীয়বারের কর্মবিরতি অল্প দিনের মধ্যে তুলে নিয়ে তাঁরা এখন অনশন শুরু করেছেন ধর্মতলায়। তাঁদের সমর্থনে একাধিক সিনিয়র ডাক্তারও অনশন মঞ্চে সামিল হয়ে প্রতীকী প্রতিবাদ করছেন।
প্রসঙ্গত, গতকালই নবান্ন থেকে রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ সাংবাদিক বৈঠক করে ঘোষণা করেন, ডাক্তারদের সুরক্ষার বিষয়টি অগ্রাধিকার দিয়েই দেখছে সরকার। 'রাত্তিরের সাথী' প্রকল্পে ইতিমধ্যে ১১৩ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। ৪৫ শতাংশের বেশি সিসিটিভির কাজ হয়ে গেছে। এছাড়া ওয়াশরুম সংক্রান্ত ৬৫ শতাংশ কাজ এগিয়ে গেছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। আগামী ১০ অক্টোবরের মধ্যে ৯০ শতাংশ কাজ হয়ে যাবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যসচিব। তিনি এও বলেন, ১৫ অক্টোবর থেকে পাইলট প্রজেক্টের কাজ শুরু হবে। সব ঠিক হলে প্যানিক বটন-এর কাজ শুরু হবে পয়লা নভেম্বর থেকে।
এই প্রেক্ষিতে জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে ফেরার বার্তা দেন মুখ্যসচিব। তিনি এও বলেন, সবাই মিলে হাসপাতালের পরিষেবা আরও ভাল করার কাজ করছেন। আশা করা হচ্ছে দ্রুত পরিস্থিতি বদলাবে।
কিন্তু এদিন অনশন মঞ্চ থেকে আন্দোলনকারীরা সাফ জানান, আরজি করের নির্যাতিতার বিচারের পাশাপাশি কলেজে কলেজে ভর্তিতে দুর্নীতি, থ্রেট কালচার-সব ধরনের বেনিয়ম বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের এই আন্দোলন চলবে। এই ঘোষণার কিছুক্ষণ পরেই আরজি কর হাসপাতালেও শুরু হল গণইস্তফা।