শেষ আপডেট: 30th September 2023 02:21
কম খাওয়া, পরিশ্রম বেশি…সুস্থ থাকার চাবিকাঠি এটাই।
বিশ্ব হার্ট দিবস পালন হচ্ছে চারদিকেই। হৃদয় যদি ভাল রাখতে হয়, তাহলে সিনেমায় হয় নিয়ম করে জিমে যান। কম খেতে হবে এবং পরিশ্রম বেশি করতে হবে, তাহলেই সুস্থ ও চনমনে থাকবে হার্ট।
হার্টের রোগ এখনকার সময়ে সবচেয়ে বড় ভয়ের কারণ। মাত্র ১০টা মিনিটে ওটলপালট হয়ে যেতে পারে জীবন। এই ভাল আছে, দিব্যি কথা বলছেন কাজ করছেন, পরক্ষণেই হয়ত কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট তছনছ করে দিল সব। হৃদয়ের রোগ বলেকয়ে আসে না। চুপিসাড়ে বাসা বাঁধে, আচমকা একদিন ঝোড়ো হাওয়ার মতো আছড়ে পড়ে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই সব শেষ হয়ে যায়। তাই হার্ট ভাল রাখা এবং জীবনযাপনে সংযম করা এখনকার সময়ে সবচেয়ে বেশি জরুরি।
হার্ট ভাল রাখার মূল মন্ত্র হল কম খাওয়া, নিয়মিত শরীরচর্চা করা এবং আলস্য ছেড়ে পরিশ্রম বেশি করা।
এখনকার ছেলেমেয়েদের লাইফস্টাইল এতই বদলেছে, যে জেনেটিক্যালি তারা হার্টের অসুখের জন্য আরও সংবেদনশীল হয়ে যাচ্ছে। ওবেসিটি, শারীরিক পরিশ্রমের অভাব, জাঙ্ক ফুড খাওয়া, দীর্ঘক্ষণ বসে কাজ করা-- এই সবটাই হার্টকে দুর্বল করে দিচ্ছে। এখনকার প্রজন্মকে হার্ট ভাল রাখতে হলে আগে লাইফস্টাইলের নিয়ম শিখতে হবে। সময় বার করে ব্যায়াম করতে হবে। অনেক কর্পোরেট অফিসে জিম থাকে। সেটা ব্যবহার করতে বলব আমি সকলকে। কম ক্যালরির খাবার খেতে বলব। নিয়ম করে ঘুমোতে বলব।
মোটামুটি চল্লিশের পর থেকে প্রত্যেকের হার্টের পরীক্ষা করানো উচিত বলে পরামর্শ দিই আমরা। তার আগে থেকেই বার কয়েক ব্লাড সুগার ও ব্লাড প্রেশার মাপতে হবে। সেখানে অসঙ্গতি মিললে হার্টের পরীক্ষা আরও আগে করা ভাল। তবে কারও পরিবারে হার্টের অসুখের ইতিহাস থাকলে, পরিবারের কেউ অল্প বয়সে হৃদরোগে মারা গেলে, ৩০-৩৫ থেকেই আমরা নিয়মিত হার্টের পরীক্ষার আওতায় থাকতে বলি।
খারাপ কোলেস্টেরলকে বশে রাখতে ডায়েটে রাখতে হবে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ও ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার। শাক-সব্জি, তরিতরকারি, ফল তো বটেই, তার সঙ্গে অত্যাবশ্যক ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবারও। ফলের মধ্যে অবশ্যই দরকারি, আপেল, বেদানা, মুসম্বি লেবু, খেজুর। ডার্ক চকোলেট হার্ট ভাল রাখে, ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়। হার্টে রক্ত চলাচলের ভারসাম্য বজায় রাখতে ও হৃদস্পন্দনকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষ সাহায্য করে ডিমের সাদা অংশ। ভিটামিন কে সমৃদ্ধ পালং শাক ধমনীকে সুরক্ষিত রাখে ও রক্তের চাপ কম রাখতে সাহায্য করে।
হার্টের স্বাস্থ্য ভাল রাখার জন্য কোনও শর্টকাট উপায় নেই। আমি বলব, সপ্তাহে অন্তত ৬ দিন ব্যায়াম করতেই হবে। না পারলে অন্তত ৪৫ মিনিট হাঁটতে হবে। যে খাবারে খুব বেশি ক্যালরি, ফ্যাট তা খাওয়া যাবে না। লাইফস্টাইল মডিফিকেশনই সুস্থ থাকার আসল চাবিকাঠি। তাই নিজে ভাল থাকুন, হৃদয়কে ভাল রাখুন।