দিলীপ ঘোষের গাড়িতে হামলা, আহত জওয়ান-নিজস্ব চিত্র
শেষ আপডেট: 13 May 2024 16:51
দ্য ওয়াল ব্যুরো, পূর্ব বর্ধমান: মন্তেশ্বরের পরে ফের হামলা দিলীপ ঘোষের গাড়িতে। দ্বিতীয়বার কালনা গেটের সামনে হামলার মুখে পড়েন দিলীপ ঘোষ। তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে ইট-বৃষ্টি করা হয়। ইটের আঘাতে মাথা ফেটে যায় তাঁর নিরাপত্তায় থাকা এক জওয়ানের। অন্য এক জওয়ানের হাতে লেগেছে।
এদিন মন্তেশ্বরের ঘটনার পরে বর্ধমানের তাঁর বাড়িতে ফিরে গেছিলেন দিলীপবাবু। সেখানে কিছুক্ষণ থাকার পরে দুপুরে ফের গাড়ি নিয়ে বের হন। তাঁর কনভয় কালনা গেটের কাছে কপিবাগান এলাকায় আসতেই আচমকা সেই কনভয় লক্ষ করে ইটবৃষ্টি শুরু করে একদল যুবক। দিলীপবাবুকে রক্ষা করতে তাঁর নিরাপত্তারক্ষীরা গাড়ি থামিয়ে হামলাকারীদের তাড়া করতে যান। সেই সময়ে ইটের আঘাতে দুই নিরাপত্তারক্ষী জখম হন।
দিলীপবাবুর অভিযোগ, এই সমস্তটাই সমাজবিরোধীদের কাজ। তাঁর দুই নিরাপত্তারক্ষী জখম হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে একজনের মাথায় লেগেছে। অন্যজনের হাতে লেগেছে। তাঁদের বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে পাঠানোর হয়েছে। পাশাপাশি নিরাপত্তা রক্ষীদের গাড়ির কাচও ইটের আঘাতে ভেঙে গেছে। জওয়ানদের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ, ৪ জন তৃণমূল কর্মীর মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে বাহিনী। পরে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ঘটনাস্থলে পৌঁছন তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজাদ।
দু'বার হামলার মুখোমুখি হওয়ার পরেও দিলীপবাবু গাড়ি নিয়ে ভাতারের দিকে রওনা দেন। এদিন মন্তেশ্বরের কুসুমগ্রাম বাজারে প্রতিদ্বন্দ্বী কীর্তি আজাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত সারার পরে কনভয় নিয়ে এগিয়েছিলেন। সেই সময় এক ব্যক্তি তাঁর গাড়ির সামনে শুয়ে পড়েন। এরপরেই দিলীপবাবুর গাড়ি আটকে তৃণমূলকর্মীরা তুমুল বিক্ষোভ দেখায়। গাড়ি থেকে নেমে পড়েন দিলীপবাবু। সেই সময়ে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে বচসাও হয় তাঁর। বেশ কিছুক্ষণ উত্তেজনা ছিল ওই এলাকায়। পুলিশ ও সেনাবাহিনী পৌঁছনোর পরে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে।
পর পর বাধা ও হামলার মুখে পড়ায় দিলীপবাবুর বিষয়ে অনবরত খোঁজ নিচ্ছে কমিশন। শুধু তাই নয় বহরমপুরের দিকেও তাঁরা নজর রেখেছে। ইতিমধ্যেই বহরমপুরের ১৬৮ নম্বর বুথের প্রিজাইডিং অফিসারকে সরিয়ে দিয়েছে কমিশন। কংগ্রেসের অভিযোগ, তৃণমূলকে সাহায্য করছিলেন ওই প্রিজাইডিং অফিসার শেখ মজির। তারা এই বিষয়ে কমিশনকে জানিয়েছিল। তাদের অভিযোগ যাচাই করার পরেই কমিশন ওই প্রিজাইডিং অফিসরকে সরিয়ে দেয়।